জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিতে আগামী ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার সময় সবার এ বিষয়ে ব্যস্ততার সুযোগে ওসমান হাদির খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘শহীদি শপথ’ পাঠ অনুষ্ঠানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, আগামী ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর আপনারা দেশের প্রতিটি দেওয়াল ও রাস্তায় শহীদ ওসমান হাদির সার্বভৌমত্ব ও ইনসাফের লড়াইয়ের ইতিহাস দেওয়াল লিখন ও গ্রাফিতির মাধ্যমে অঙ্কন করুন। এই দুদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির এই লড়াইয়ের বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরুন।
আরও পড়ুনআপনারা হাদিকে হত্যা করিয়ে এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন ‘লিডার আসছে’ ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে ঢাকা
তিনি বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি আমরা আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেবো। ওসমান হাদি সহিংসতা পছন্দ করতেন না। তার জানাজায় ১৫ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। আমরা যদি বলতাম শহীদের রক্তের বদলা নিয়ে ঢাকা ছাড়তে হবে? তবে আমরা সহিংসতা চাইনি। ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলবে।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, ওসমান হাদিকে গুলি করে শুধু তার মাথায় গুলি করা হয়নি, তারা বাংলাদেশের মাথায় গুলি করেছে। আমাদের সবাইকে যদি মেরে ফেলা হয় তাহলে বাংলার জমিনে যদি একজন জীবিত থাকে সে বাংলার জমিনে ইনসাফ কায়েম করে যাবে। সরকার যদি আমাদের হুমকি মনে করে তাহলে বলতে চাই সরকার বাংলাদেশের শত্রু, বাংলাদেশে ইনসাফ কায়েমের শুত্রু।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চি করতে হবে।
এসময় জাবের অভিযোগ করেন, ২৫ তারিখ (ডিসেম্বর) তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। সেদিন সবাই এ নিয়ে যখন ব্যস্ত থাকবেন, আমাদের কাছে খবর এসেছে- সেসময় ওসমান হাদির খুনিদের বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। হাদির খুনিদের পেছনে রাঘববোয়াল আছে, এজন্য খুনিদের জনসম্মুখে আনা হচ্ছে না।
এনএস/কেএসআর