‘১৭ বছর পর আমাদের নেতা মাতৃভূমিতে ফিরছেন। তাকে একনজর দেখতে এসেছি। তাকে কাছ থেকে একনজর দেখবো বলে এসেছি। নেতাকে দেখার জন্য গতকাল আসরের পর বাড়ি থেকে রওয়ানা দিয়েছি। বাসে আসার পর অনেকটা পথ হেঁটে এখানে এলাম। কাছ থেকে যদি একনজর প্রিয় নেতাকে দেখতে পারি তাহলে যাত্রাপথের সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা সাজু মাতবর (৬৫) জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ৩০০ ফিটে কথা বলার সময় বিএনপির অন্য নেতাকর্মীদের মতো সাজু মাতবরের হাতেও দেখা যায় দলীয় পতাকা। বয়সের ভারে ধীর পায়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি।
সরেজমিনে ৩০০ ফিট এলাকা ঘুরে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তাদের মধ্যে বয়সে প্রবীণ নেতাকর্মীও রয়েছে অনেক। শুধু সাজু মাতবর নন, ৬০-৭০ বছরের বয়োবৃদ্ধরাও মিছিল কিংবা ছোট দলে ভাগ হয়ে সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা সাজু মাতবর জাগো নিউজকে বলেন, অনেক দূর থেকে হেঁটে এসেছি। গতকাল (বুধবার) বিকেলে রওয়ানা দিয়েছি। আমরা দল বেঁধে এসেছি। আমাদের নেতা ১৭ বছর পর দেশে আসছেন। তাকে একনজর কাছ দেখে দেখার জন্য এসেছি। একই এলাকা থেকে আসা সত্তরোর্ধ্ব বয়সী আফছার উদ্দিন জাগো নিউকে বলেন, ভোরে রওয়ানা দিয়েছি। বাসে আসার পর অনেকটা পথ হেঁটে এলাম। দেশনায়ক তারেক রহমানকে কাছ থেকে দেখবো, সেই অপেক্ষায় আছি।
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে এসেছেন ষাটোর্ধ্ব রহমত আলী। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজে বলেন, ভোর ৪টায় বাড়ি থেকে বের হয়েছি। সকালের ট্রেনে ঢাকায় এসেছি। প্রচণ্ড শীত ও কষ্ট উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছি। আমাদের প্রিয় নেতা দেশের ভবিষ্যৎ তারেক রহমান আজ আসছেন। তাকে একনজর কাছ থেকে দেখতে চাই। প্রিয় নেতাকে প্রিয় মাতৃভূমিতে স্বাগত জানাতে এসেছি।
ইএইচটি/এমকেআর/এএসএম