দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকা ও কুড়িল বিশ্বরোডজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নেতাকর্মীদের ঢল নামায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা বিক্রেতাদের হয়েছে পোয়াবারো। তবে বাড়তি দামের অভিযোগ তুলেছেন অনেক নেতাকর্মী।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় দেখা যায়, নেতাকর্মীরা হকারদের কাছ থেকে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, হ্যান্ড ফ্ল্যাগ এবং তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের ছবি সংবলিত পতাকা সংগ্রহ করছেন। কেউ কেউ এসব পতাকা ও ফিতা কপালে বেঁধে মিছিল নিয়ে মূল মঞ্চের দিকে এগোচ্ছেন।
জয়পুরহাট থেকে আসা মারুফ হোসেন বলেন, ‘১৭ বছর পর আমাদের নেতা দেশে ফিরছেন। তাকে সংবর্ধনা দিতে এসেছি। পথে পতাকা সংগ্রহ করতে পারিনি, এখানে এসে কিনছি। কিন্তু অন্য সময়ের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি রাখা হচ্ছে।’
মেহেরপুর থেকে আসা বিএনপি নেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরেই ৩০০ ফিট এলাকায় পৌঁছেছি। আজ সারাদেশে খুশির বন্যা বইছে। এই আনন্দ আরও রাঙাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করে মূল মঞ্চে যাব।’
বরিশালের উজিরপুর থেকে আসা বিএনপি কর্মী তুহিন বলেন, ‘তারেক রহমানের আগমন মানেই বাড়তি আনন্দ। কিন্তু পতাকা কিনতে গিয়ে দেখি হকাররা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আগে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পতাকা যেখানে ১০০ টাকায় পাওয়া যেতো, সেখানে এখন ১৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। পাঁচ ফুট সাইজের পতাকা আগে ১৫০ টাকায় মিললেও এখন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। এমনকি ১০ টাকার ফিতা ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পতাকা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে কাপড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় পতাকার দাম বাড়াতে হয়েছে।
বিক্রেতা ইমরান বলেন, ‘আগে যে পতাকা ৫০ টাকায় পাইকারি কিনতাম, এবার তা ৮০ টাকা হয়েছে। সাড়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট পতাকার দামও বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি করছি। তুলনামূলকভাবে খুব বেশি দাম রাখা হচ্ছে না।’
এদিকে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রেখেছে বিএনপি। সবমিলিয়ে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তবে বাড়তি দামে পতাকা বিক্রির বিষয়টি নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক নেতাকর্মী।
ইএআর/ইএ/এএসএম