ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে ব্যাপক হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। হামলার সময় শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলা প্রতিহত করতে কিয়েভে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। তাদের দাবি, রাশিয়া ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় কিয়েভের আকাশে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোলার শব্দ শোনা গেছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের বিভিন্ন চ্যানেলেও বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এই হামলা এমন এক সময় হলো যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দুই দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
অন্যদিকে এক বছরে ইউক্রেনের প্রায় ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। ২০২৫ সালে ইউক্রেনে সামরিক সাফল্য অর্জনের অংশ হিসেবে জোরালোভাবে এই দাবি তুলে ধরলো পুতিনের দেশ।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে সামরিক অগ্রগতির বার্তা দেওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রভাব ফেলতেই মস্কো এ ধরনের দাবি করছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চলের সিভেরস্ক ও উত্তরাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলের ভোভচানস্ক দখল করেছে।
এছাড়া তিনি দাবি করেন, দোনেৎস্ক অঞ্চলের লাইমান ও কোস্তিয়ানতিনিভকার অন্তত অর্ধেক এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের হুলিয়াইপোলেও রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এসব শহরই সামনের সারির যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম