জাতীয়

তীব্র শীতে নিউমার্কেটে জমে উঠেছে গরম কাপড়ের বাজার

রাজধানীতে গত কয়েকদিন ধরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় বিক্রি বেড়েছে নিউমার্কেটসহ অধিকাংশ মার্কেটে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেটজুড়ে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, শাল ও শিশুদের গরম পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

শনিবার সন্ধ্যার পর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মানুষ প্রয়োজনের তাগিদেই শীতের পোশাক কিনতে আসছেন। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তুলনামূলক কম দামের দোকানগুলোতে বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে।

নিউমার্কেটের দোকানি আকরাম হোসেন বলেন,গত এক সপ্তাহে বিক্রি অনেক বেড়েছে। আগে দিনে যেখানে ১০-১২ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হতো, এখন সেখানে ২০-২৫ হাজার টাকাও হচ্ছে। বিশেষ করে জ্যাকেট আর সোয়েটারের চাহিদা বেশি।

সরেজমিন মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সোয়েটার ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা, জ্যাকেট ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকা, হুডি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, কোট ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা, ব্লেজার ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা, সুয়েট শার্ট ৪০০ থেকে ৮০ টাকা, কার্ডিগান ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা, লেদার জ্যাকেট ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা, পাফার জ্যাকেট ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, থার্মাল ইননার ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ফুল স্লিভ টি-শার্ট ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, উলেন শার্ট ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, মাফলার ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা, উলেন টুপি (বিনি) ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, গ্লাভস ১০০ থেকে ৪০০ টাকা, উলেন মোজা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া নারীদের পোশাকের মধ্যে উলেন কামিজ ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা, উলেন কুর্তি ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা, লং শ্রাগ ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা, থার্মাল ইননার ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফুল স্লিভ টপ ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে কাপড়ের মানের তারতম্যের কারণে দামের ভিন্নতা দেখা গেছে।

নিউমার্কেটে শীতের পোশাক কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আফসানা বলেন, শীত অনেক বেড়েছে। বাচ্চাদের জন্য গরম কাপড় না কিনে উপায় নেই। নিউমার্কেটে তুলনামূলক কম দামে ভালো পোশাক পাওয়া যায় বলেই এখানে আসা।

আরেক ক্রেতা কলেজছাত্র রুবেল হাসান বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। বাজেটের মধ্যে হুডি আর জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে, তাই ভিড় হলেও কেনাকাটা করছি।

ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, শীত আরও কয়েকদিন স্থায়ী হলে শীতের পোশাকের বিক্রি আরও বাড়বে। এদিকে ক্রেতারা ভিড় এড়াতে সকাল বা দুপুরের আগেই মার্কেটে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই।

এনএস/এমআইএইচএস/এমএস