‘প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং টেকসই উন্নয়ন’এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ পালিত হচ্ছে, জাতীয় জীববৈচিত্র্য দিবস। প্রতিপাদ্যের মূল লক্ষ্য হলো জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যের মধ্যেকার সংযোগকে তুলে ধরা, যাতে সবাই একসঙ্গে প্রকৃতির সুরক্ষায় কাজ করতে পারে।
কিন্তু আমাদের দেশে নির্বিচারে বনজঙ্গল উজাড় হচ্ছে। চলছে গাছ কাটা। পাহাড় কাটা থেমে নেই। নির্মিত হচ্ছে চাষের জমিতে আবাসিক প্রকল্প। জলাশয় ভরাট, নদী দূষণ, নদী দখল চলছে। ফলে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে দেশও দেশের পরিবেশ। আর এসব কারণে জীববৈচিত্র্য বিলীন হওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। যা পরিবেশবিদদের পাশাপাশি বিশ্বের সব স্তরের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ জীববৈচিত্র্য মনুষ্য পরিবেশকে নানা মাত্রায় বসবাসযোগ্য করে তোলে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় মানুষ ও অন্যান্য জীবকে বেসুমার জটিলতা বা হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়। তাই বিভিন্ন প্রাণী ও পশু-পাখি রক্ষায় বর্তমানে রীতিমতো আন্দোলন চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে রক্ষার দাবি তখনই ওঠে যখন বিপন্নতা এসে গ্রাস করে। এমন বহু প্রাণী বা পশুপাখি এখন বিপন্ন, বিরল। এতে পরিবেশের ভারসাম্য যেভাবে নষ্ট হচ্ছে তাতে দেশটি বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। অথচ এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষীয় কোনো তৎপরতা আছে বলে মনে হয় না।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জলাভূমি ও কৃষি জমি থেকে অব্যাহতভাবে পরিবেশ বন্ধু শামুক নিধন বর্তমানে পরিবেশ ধ্বংসকারী কর্মকান্ডের সঙ্গে যোগ হয়েছে। জলাভূমিসহ কৃষি জমিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শামুক একটি নিরীহ জলজ প্রাণী। দেশের বিভিন্নাঞ্চলের মৎস্যঘেরে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শামুক। ফলে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমার এদেশের বিভিন্ন জলাভূমির মাছ ও কৃষি জমির উর্বরতা সর্বোপরি পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে জলাশয় ও বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ কমে যাওয়াতে অনেক জেলে মাছ ধরা বাদ দিয়ে শামুক ধরার কাজে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছর এভাবে শামুক নিধনের ফলে তা পরিবেশ ও কৃষির জমির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
কৃষিবিদগণ বলেন, শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে পরিগণিত। মরা শামুকের মাংস ও খোলস পচে জমির মাটিতে প্রাকৃতিকভাবে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশ তৈরি করে। ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ ধানগাছের শিকড় মজবুত ও অধিক ফসল জন্মাতে সাহায্য করে। জীবিত শামুক আমন ধানের ব্যাপক উপকারে আসে। শামুক দূষিত পানি ফিল্টারিং করে প্রাকৃতিকভাবে পানি দূষণমুক্ত রাখে। প্রাকৃতিক ও দেশীয় মাছের প্রধান খাদ্য হচ্ছে শামুকের ডিম ও মাংস। কৈ, শিং, মাগুর, ট্যাংরা, টাকি, শোল ইত্যাদি মাছের ডিম থেকে সদ্যোজাত পোনার একমাত্র খাদ্য হচ্ছে শামুকের নরম ডিম। এ খাদ্য না পেলে এসব মাছের পোনা মারা যায়। ফলে শামুকের অভাবে দেশীয় শক্তিশালী মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশি মাছ। কিছু কিছু কীটপতঙ্গ শামুক থেকে খাবার সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে। এসব কীটপতঙ্গ ধান গাছের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় খেয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ক্ষেতের ব্যাপক উপকার করে থাকে।
অপরদিকে শামুকের পাশাপাশি নিশাচর বাদুড় ও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বাদুড় চর্মপক্ষ, স্তন্যপায়ী ও নিশাচর প্রাণী। রাতের আঁধারে বিভিন্ন জায়গার বসত-বাগান বাড়ির যত্রতত্র স্থানে উড়তে এদের দেখা যায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা-সায়াহ্ন থেকে রাতভর পর্যন্ত খাদ্যের অন্বেষণে বিভিন্ন জায়গায় তারা ঘুরে বেড়ায়। কেউ-কেউ এদের কলা বাদুড়ও বলেন। সাধারণত এসব বাদুড় বাংলাদেশের পাহাড়িয়া অঞ্চলের বন-বাদাড়, ঝোপ-ঝাড়, পান-সুপারি বাগান, কলাবাগান এমনকি ফল-মূলের বাগান, বটবৃক্ষ ইত্যাদি জায়গাতে এদের বিচরণ করতে দেখা যায়। এসব স্থানের নারিকেল, সুপারির নির্যাস ফল-মূল ইত্যাদি চুষে খেয়ে তারা বাঁচে।
ঐতিহ্যবাহী জাফলং বাজার কিংবা জাফলং জমিদার বাড়ির বট বাসনে বাদুড়দের আবাসিক স্থান রয়েছে। সুদূর সেই অতীতকাল থেকে। কালক্রমে এই স্থানের বটরাজী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে ওরা এখন লন্ডবন্ড হয়ে গেছে। অনেক বাদুড় আবাসিক সমস্যায় ভুগছে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে জাফলংয়ে আগের মত এদের আবাসিক পরিবেশ নেই। তদুপরি শিকারীদের বেধড়ক ধরপাকড়াও রয়েছে। খাদ্যেরও প্রচুর সংকট। তাই তারা অধিকন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যেতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ রওনাও হয়ে গেছে। আবার অনেকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে জৈয়ন্তিয়া ও গোয়াইনঘাটের বনায়ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে। তারা কেবল স্থানীয়ভাবে উড়ন্ত আর ঝুলন্তবস্থায় জাফলং-এর বটবাসনে অবস্থান করছে। বনজ সম্পদ আর বন্য প্রাণী ভ্রমণ পিপাসুদের নিকট আকর্ষণ প্রিয়। জাফলং যারা ভ্রমণে আসেন তখন তারা এসবও অবলোকন করেন।
বাদুড়ের মতো দেশের আরও একটি প্রাণী উড়ন্ত কাঠবিড়ালি। পাখির মতো একনাগাড়ে উড়তে পারে না। তবে একশত ফুট দূরবর্তী স্থান পর্যন্ত বেশ উড়তে পারে। উড়ার জন্য সামনের পা থেকে পেছনের পা পর্যন্ত রয়েছে বাদুড়ের মতো চামড়ার ডানা। উড়তে পারে বলে বিরল এই প্রাণীটির নাম উড়ন্ত কাঠবিড়ালি। সাধারণ কাঠবিড়ালির চেয়ে সামান্য বড়। গায়ের লোম ও চেহারার ধরন সাধারণ কাঠবিড়ালির মতোই। ডানাসহ পার্থক্য বলতে লেজ কিছুটা লম্বা। চোখ দু’টি গোল ও বেশ বড়। বিলুপ্ত প্রজাতির এই কাঠবিড়ালিটি ধরা পড়ে বান্দরবান জেলা সদরের রেইছা এলাকায়। প্রাণীটিকে কক্সবাজার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হয়েছে। পত্র-পত্রিকায় মাঝে মধ্যেই এই ধরনের বিরল প্রজাতির প্রাণী ধরা পড়ার সংবাদ প্রকাশিত হতে দেখা যায়। নিশ্চয়ই বান্দরবান জেলায় একসময় উড়ন্ত কাঠবিড়ালির অস্তিত্ব সচরাচর চোখে পড়ত। এখন তা বিরল প্রজাতির তালিকায় স্থান পেয়েছে। উড়ন্ত এই কাঠবিড়ালিটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘গেকোমিস সাবরিনাস’। গোলগাল ও বড় বড় চোখ হলেও এটি হিংস্র নয় ।
এসব প্রাণীদের বিলুপ্তির পেছনে কেবল হিংস্রতাই দায়ী নয়, বসবাসের মত পরিবেশ ও খাদ্যাভাবের কারণেই মূলত অনেক প্রজাতির পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। একই দিন সংবাদপত্রে চিটিপেট হুতুম পেঁচা খবরের শিরোনাম হয়েছিল। পেঁচাটি বান্দরবান মেঘলা চিড়িয়াখানা থেকে মেঘলা বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এক বছর আগে এ প্রাণীটিকে বান্দরবানের থানচির বনাঞ্চল হতে ধরা হয়েছিল। বিশ্বের বিরল প্রজাতির পেঁচাদের মধ্যে চিটিপেট হুতুম পেঁচা অন্যতম। বাংলাদেশের মধুপুর গড় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তাদের দেখা যেতো। কিন্তু উড়ন্ত কাঠবিড়ালি ও চিটিপেট হুতুম পেঁচার মতো অনেক প্রাণীই আজ বিলুপ্ত কিংবা বিলুপ্তির পথে।
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, বাংলাদেশে বিরূপ পরিবেশে এখনো যে সব বন্যপ্রাণী অস্তিত্ব রয়েছে খাতা-কলমে সেসব প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৮৪০। তন্মধ্যে ৫৭৮ রকমের পাখি, ১১৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১২৪ ধরনের সরিসৃপ এবং ১৯ প্রকারের উভচর প্রাণী। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ক্রমাগত সব ধরনের প্রাণী ও পক্ষির সংখ্যাই হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে এরই মধ্যে ১৭ প্রজাতির বন্যপ্রাণী নির্বংশ হয়ে গেছে। ওইসব প্রাণী ও পাখির নামও আজ আমরা ভুলতে বসেছি। সেই সঙ্গে দেশে প্রায় ৫০ ধরনের পশু-পাখির অস্তিত্ব আজ চরম হুমকির সম্মুখীন। বলতে গেলে জলে ও স্থলে প্রাণীকুল আজ কোথাও নিরাপদ নয়। পরিবেশ-প্রতিবেশের জন্যও ইহা মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। শুধু বাংলাদেশে বলে কথা নয়, বিশ্ব জুড়েই এ সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করছে। বন, বন্যপ্রাণী, পশু-পাখি প্রভৃতি মানুষের অস্তিত্বের জন্যই প্রয়োজন। তারা বিলীন হয়ে গেলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে আমাদের অস্তিত্বও টানা পোড়ন পড়বে।
প্রতিদিন কোন না কোন প্রাণী প্রজাতি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। নিত্যদিন বিরল প্রজাতির তালিকাভুক্ত হচ্ছে নদী, সমুদ্র, অরণ্য কিংবা জনপদের কোন প্রাণী। পশু-পাখি, জন্তু-জানোয়ার। যখন কোনো বিরল প্রাণী হারিয়ে যায়, তখন বোঝা যায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের আবাসস্থল বনবনানী ও নদী-নিসর্গ। বনজঙ্গল যতই বৃক্ষবিরল হবে ততই হারিয়ে যাবে সবুজের সমারোহ। আর সেই সঙ্গে বন্যপ্রাণীও। বন্যপ্রাণী কিংবা পশু-পাখিদের হুমকির কারণ কিন্তু আমরাই। আমরাই জন্তু-জানোয়ার, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ প্রভৃতির আবাসভূমি ধ্বংস করছি। তাই জলে ও স্থলে প্রাণীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে হবে। নিত্যনতুন বন না গড়ে কোন বন প্রয়োজনেও সামান্যতম ধ্বংস করা যাবে না। যারা পরিবেশ বাঁচিয়ে মানুষের উপকার করে তাদের বাঁচাবার দায়িত্বও আমাদের। গাছপালা, জীব-জন্তু ও পাখ-পাখালিদের রক্ষার জন্য আমাদের প্রত্যেককেই হতে হবে সচেতন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জীববৈচিত্র্য রক্ষার পথে হাজার রকমের সমস্যা ভর করবে। তাই বিভিন্ন প্রাণী ও পশু-পাখি রক্ষায় আজকাল রীতিমতো আন্দোলন চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে রক্ষার দাবি তখনই ওঠে যখন বিপন্নতা এসে গ্রাস করে। এমন বহু প্রাণী বা পশু-পাখি এখন বিপন্ন, বিরল।
সর্বশেষ এর তালিকায় যোগ হয়েছে এশীয় রাজ শকুন। একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি একটি সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। তা হলো- গবাদিপশুর শরীরে প্রদাহজনিত চিকিৎসায় এন্টি ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহ রোধক ওষুধ ব্যবহার বন্ধ না করলে আগামী এক দশকের মধ্যে এশীয় রাজ শকুন বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। ভারত ও ব্রিটেনের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি এশীয় রাজ শকুনের ওপর গবেষণা চালান। ব্যাপক গবেষণা শেষে বোম্বে ন্যাচারাল হিস্টোরি সোসাইটির জার্নালে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাদা পিঠওয়ালা এশীয় রাজ শকুন বিলুপ্ত হয়েছে ৯৯ দশমিক ৯ ভাগ। বাকি রয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ১ ভাগ। আগামী দশ বছরে এ অবশিষ্ট ভাগও বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
গবেষক দলের মতে, এশীয় রাজ শকুন দ্রুত বিলুপ্তি হওয়ার পেছনে রয়েছে গবাদিপশু চিকিৎসায় প্রদাহ রোধক ওষুধ ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার। তাদের ভাষায়, ডাইক্লোফেনাক প্রয়োগ করা হলেও এক সময় আক্রান্ত পশু মারা যায়। আর মৃত পশুর মাংস ও বর্জ্য ভক্ষণকারী শকুনও পরে মারা যায়। নেপথ্য কারণ হচ্ছে ডাইক্লোফেনাক আসলে বিষাক্ত উপাদানে তৈরি।
বস্তুত একথা চিন্তা করেই ভারত সরকার ২০০৬ সালে দেশে ডাইক্লোফেনাক উৎপাদন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এক্ষেত্রে আইনের ফাঁক-ফোকর এই যে, গবাদিপশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইক্লোফেনাক উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হলেও বহাল রয়েছে মেডিক্যালে ব্যবহারযোগ্য (মানুষ চিকিৎসা) ডাইক্লোফেনাক উৎপাদন। তাই দেখা গেছে, গবাদিপশু চিকিৎসায় ও বহু ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে মেডিক্যালের ডাইক্লোফেনাক। ফলে একথা স্বীকার্য যে, গবাদিপশু চিকিৎসায় এ ওষুধ প্রয়োগ নিরুৎসাহিত করা হলেও আসল উদ্দেশ্য সাধন হয়নি। তাই যা হবার তাই হচ্ছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সাদা পিঠের শকুনের পাশাপাশি লম্বা এবং সরু ঠোঁটওয়ালা উভয় প্রজাতির শকুন একই সময়ে অর্থাৎ ১৯৯২-এর পর বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৯৭ ভাগ। জুওলোজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন (জেএসএল)-এর বিজ্ঞানী এবং সহনিবন্ধকার আন্দ্রে কানিংহ্যাম বলেন, বছরের পর বছর উল্লিখিত দুই প্রজাতির শকুন গড়ে প্রায় ১৬ ভাগ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গবেষকদের অভিমত গবাদিপশুর প্রদাহজনিত চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের বিকল্প মেলক্সিকাম ব্যবহার করা উচিত কারণ এটি বিষাক্ত নয়। তাহলে মৃত পশুর মাংস, বর্জ্য,খেলেও বেঁচে যাবে এশীয় রাজ শকুনরা। তাই ঐতিহ্যবাহী বাদুড় এই আবাসনটি সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরাট প্রয়োজনে স্থানীয় সহযোগিতাসহ বন ও পরিবেশ বিভাগের সুদৃষ্টি একান্ত কাম্য।
আরও পড়ুন
সন্ধ্যা নামলেই পুরোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের হাট বসে যেখানে
লেখক: গবেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ কেএসকে