অর্থনীতি

বছরের শেষ কার্যদিবসে দুই শেয়ারবাজারে দুই চিত্র

চলতি বছরের শেষ কার্যদিবস মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার পর দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশি প্রতিষ্ঠান। মাঝে আবার দরপতন হলেও, শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকায় বড় হয়।

ফলে দাম বাড়ার তালিকা বড় হওয়ার পাশাপাশি প্রধান মূল্যসূচক বেড়েই ২০২৫ সালের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক হলি ডে’র কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে না। ফলে আজই চলতি বছরের শেষ কার্যদিবস পার করলো শেয়ারবাজার।

বছরের শেষ দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১২২টির। আর ৯০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৭০টির দাম কমেছে এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ২৪টির দাম কমেছে এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১টির দাম কমেছে এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে নেমে গেছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৪ কোটি ৪ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩০৯ কোটি ৯৬ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ৮ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালি পেপার।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- উত্তরা ব্যাংক, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমা ফুড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সায়হাম কটন এবং শাহজিবাজার পাওয়ার।

অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৪৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭১টির এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এমএএস/এমএএইচ/এএসএম