ক্যাম্পাস

শেকৃবিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বাধা, সতর্ক করলো প্রশাসন

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্ধারিত সিন্ডিকেট কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ আহসান হাবিব ও শাহরিয়ার মোস্তাকিম বিল্লাহর নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী সিন্ডিকেট সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেন বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক নোটিশে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সদস্যরা নির্ধারিত সিন্ডিকেট সভা কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ আহসান হাবিব ও শাহরিয়ার মোস্তাকিম বিল্লাহর নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষার্থী তাদের প্রবেশে বাধা দেন। ওই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা ও আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।

আরও পড়ুনজবি শিক্ষককে হেনস্তা: জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার দাবিপাঁচ দেশে ইন্টার্নশিপে যাচ্ছেন শেকৃবির ৪৯ শিক্ষার্থী

এ বিষয়ে শাহরিয়ার মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, বিগত সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ও মামলার আসামিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কোনো ধরনের ভেরিফিকেশন ছাড়া। সিন্ডিকেট মিটিংয়ের আগে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সচেতন মানুষ হিসেবে আমরা প্রশাসনিক ভবনে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাফি ভাই, শরীফ ভাইদের একটা গ্রুপ বহিরাগতসহ উপস্থিত ছিলেন। কথা-বার্তার এক পর্যায়ে তারা আমাকে আঘাত করলে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

শেখ আহসান হাবিব বলেন, প্রশাসন নিজেদের দোষ ঢাকতে যারা নির্দোষ তাদের নামে শোকজ লেটার দিয়েছে। সিন্ডিকেট মিটিং করার জন্য আগে থেকে লোক এনে ভ্যানগার্ড হিসেবে রেখেছে, তাদের মধ্যে বহিরাগত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ থাকার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী তাদের শোকজ লেটার দিয়েছে।

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. আরফান আলী বলেন, সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বাধা দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে শোকজ লেটার দেওয়া হয়েছে।

সাইদ আহম্মদ/কেএসআর/জেআইএম