শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, সবার সহযোগিতায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন করা হবে।মঙ্গলবার সকালে নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ কাউন্সিলের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পর্যন্ত কোন শিশু কারখানায় কাজ করতে পারবে না। ১৪ থেকে ১৮ বছরের কিশোর বয়সীরা হালকা কাজ করতে পারবে। সরকার ইতোমধ্যে গৃহকর্মী সুরক্ষা কল্যাণ নীতি ২০১৫ ঘোষণা করেছে। শ্রম আইনের আলোকে প্রণীত এ নীতিতে গৃহপরিচারিকাদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ঘুম ও বিশ্রামের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্থান নিশ্চিত করাসহ মর্যাদাপূর্ণ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এ নীতিমালাকে শিগগিরই আইনে পরিণত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শ্রম আইনের আওতায় কোনো কোম্পানি দুই কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে লভ্যাংশের ৫% কর্মরত শ্রমিকদের দিতে হবে। তিনি দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রযাত্রার পিছনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণ করে বলেন, তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনে বদ্ধপরিকর। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগকে অর্থনৈতিক সূত্রের নতুন দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা, দৃঢ়তা এবং দেশপ্রেমের অনন্য নজির।খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব খন্দকার মো¯তান হোসেন, খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান এবং বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ) এর সভাপতি মোঃ ইমরানুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আšতর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি সৈয়দা মুনিয়ারা সুলতানা।বিভাগীয় শিশু কল্যাণ কাউন্সিলের সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সকরারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।আলমগীর হান্নান/এআরএ/এবিএস