শেরপুরে বাল্যবিয়ে ও যৌতুককে লাল কার্ড দেখিয়ে সদর উপজেলার ৬ নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে ও যৌতুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন আহম্মদ মডেল কলেজ মাঠে ইউনিয়নের ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী হাতে বাল্যবিয়ে ও যৌতুককে ‘না’ লেখা লাল কার্ড একসঙ্গে তুলে ধরে বাল্যবিয়ে ও যৌতুকবিরোধী শপথ করেছেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সমম্বরে তারা বলে উঠেন, ‘১৮ বছরের আগে বিয়ে করব না, কাউকে করতে দেব না। যৌতুক দেব না, নেব না, মানবো না। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করব, নিজেকে গড়বো, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করবো।’
লাল কার্ডে বাল্যবিয়ে ও নারী-শিশু নির্যাতনবিরোধী হটলাইন নম্বর ‘১০৯’ এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নম্বর দেয়া হয়। যাতে যেকোনো বাল্যবিয়ের বন্ধের ক্ষেত্রে ওই নম্বরে কল করে ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করতে পারে।
নাগরিক সংগঠন ‘জনউদ্যোগ’ ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওয়ার্ল্ড ভিশন শেরপুর এডিপি, আইইডি, রক্ত দিন জীবন বাঁচান, আসলকাজ, বাংলার মুখ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ হায়দার আলী তার ইউনিয়নকে আজ থেকে বাল্যবিয়ে ও যৌতুকমুক্ত ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গণি বলেন, ১৮ বছরের আগে তোমরা বিয়ের কথা চিন্তাও করবা না। লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হও। বর্তমান সরকার মেয়েদের এগিয়ে নিতে নতুন নতুন অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তোমরা লেখাপড়া করে নিজেদের যোগ্য করে তোলো।
আহ্বায়ক নবারুণ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদ সদস্য মো. কফিল উদ্দিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা শামীমা, অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ঠান্ডু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কার্টুনিস্ট শাহীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
হাকিম বাবুল/এএম/জেআইএম