রাজনীতি

দেশ পরিচালনার যোগ্যতা নেই বর্তমান সরকারের : দুদু

এই সরকারের দেশ পরিচালনার কোনো রকম যোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার চাল উৎপাদন করে নাকি বিদেশে রফতানি করে, এ কথা দেশবাসীকে তারা শুনিয়েছে। কিন্তু তার (বর্তমান সরকার) আমলে চালের যে সংকট, খাদ্যের যে সংকট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে সংকট; অতীতে কোনো সরকারের আমলে দেখা যায়নি।’

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত ‘চালের দাম কমাও মানুষ বাঁচাও’ শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

চালের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে দুদু বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম মিয়ানমারে গেছেন। মিয়ানমার এখন সারা বিশ্বে ভয়ঙ্কর শাসকদের নৃশংশতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে চালে সাধারণ মুসলিম, হিন্দু মানুষের রক্ত মাখা, সেই চাল আনতে স্ত্রীসহ কামরুল ইসলাম সেখানে গিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘তাও তিনি সেখানকার চাল পাননি। যা পেয়েছেন, আমরা পত্রপত্রিকায় দেখেছি সে চাল খুব নিম্নমানের। একেবারে খাওয়ার অযোগ্য কিছু চাল ইতোমধ্যে দেশে ঢুকেছে। সরকার ট্রাকে করে যে চাল বিক্রি করছে তা আতপ চাল। এর আগে কোনো সরকার এই চাল বিক্রি করেনি।’

তিনি বলেন, ‘অপশাসন, খুন, গুম, নিখোঁজ, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যাপার যেমন আছে, ঠিক তেমনি মোটা চালের দাম ৭০ টাকা হওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে। সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আজ হাহাকার উঠেছে। রোহিঙ্গা, আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতিসহ এই সরকার সবদিক থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।’

দুদু আরও বলেন, ‘জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী গেছেন মাত্র ২ মিনিট আলোচনা করেছেন ট্রাম্পের সাথে। সেটাও আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে। এবং কি কথা বলেছেন আমরা আমেরিকার কাছে কিছু প্রত্যাশা করিনা। প্রত্যাশার জন্যেই তো সেখানে আপনি গিয়েছিলেন। ট্রাম্প, জাতিসংঘসহ বিশ্ববাসীকে আপনি অনুরোধ করবেন রোহিঙ্গারা যেভাবে আসছে স-সম্মানে আবার যেন তাদের ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু আপনি গিয়ে সে কথা তো বলেননি। দাম্ভিকতা করে বলছেন, আমাদের কোনো প্রত্যাশা ছিল না।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।

এএস/এসআর/আইআই