মতামত

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হোক

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে সার্বিক নিরাত্তার জন্য বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যার যা দায়িত্ব সেটি পালন করতে হবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ৭ জন মেয়র পদে, ৮৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৭টি সাধারণ এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বিশিষ্ট এ সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭। এরমধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।

সিটি কর্পোরেশনের ৪২৫টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩৩৭টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৮৮টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে পুলিশ, আনসার ভিডিপিসহ ২৪ জন (১২ জন অস্ত্রধারী) সদস্য মোতায়েন থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ২২ জন (১০ জন অস্ত্রধারীসহ) সদস্য মোতায়েন থাকবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন হলেও এটি ইতোমধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের রূপ নিয়েছে। বিএনপি বলছে, এই নির্বাচনের ফল দেখে তারা তফসিল ঘোষিত বাকি তিন সিটির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। কাজেই নির্বাচন কমিশনের জন্য এই নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আর একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থক-কারো ভূমিকা কম নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হোক এটিই কাম্য।

এইচআর/জেআইএম