দেশজুড়ে

বগুড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ আহত ৮

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চিকাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদকসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চিকাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুজন মিয়া (৩৮), বড়িয়া গ্রামের চাঁন মিয়া (৪০), চিকাশি গ্রামের আলিনুর ইসলাম (৪০), সুমন আহম্মেদ (৩৫), পলাশ মিয়া (৩৫), আব্দুল খালেক (৬০), আনোয়ার হোসেন শাহীন (৪৫) ও ওমর আলী (৫৫)। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিকাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সদস্যর চারটি পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩০৮ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়েছে। এদিকে দুপুর ১২টার দিকে প্রার্থীদের সমর্থক চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন ও চিকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেপ বাদশার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলাকালে আলেপ বাদশা তার লোকজন নিয়ে সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে বাধা দিলে আলেপ বাদশা ও তার লোকজনের হামলায় আমার পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।

চিকাশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলেপ বাদশা বলেন, চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন ও তার লোকজন ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দেয়ায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে আমার পক্ষের চারজনকে আহত করেছে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার নুরুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলেও ভেতরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। অভিভাবক সদস্য পদে মুঞ্জুরুল হক, আনোয়ার হোসেন, গোলাপি খাতুন ও রিনা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন।

ধুনট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রের বাইরে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লিমন বাসার/আরএআর/এমএস