টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একজন বোলার সর্বোচ্চ করতে পারেন চার ওভার। এই ২৪ বলের মধ্যে ৭ উইকেট নেয়া সম্ভব, তা হয়তো ভাবেনি কেউই। তবে বুধবার এটিই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন লিস্টারশায়ারের অফস্পিনার কলিন অ্যাকারম্যান।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ভাইটালিটি ব্লাস্টে ৪ ওভার বোলিং করে ১৮ রান খরচায় শিকার করেছেন ৭টি উইকেট। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো ৭ উইকেট নিয়ে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। যেকোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচে এটিই সেরা বোলিং ফিগার।
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের ২০১৩ সালের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়ে এক ম্যাচে মাত্র ৬ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেটি ছিলো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড।
যা টিকে ছিলো টানা ছয়টি বছর। কিন্তু বুধবার রাতে সাকিব আল হাসানের রেকর্ডটিকে তিনে নামিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অফস্পিনার কলিন অ্যাকারম্যান। শুধু সাকিবকে তিনে নামিয়েই ক্ষান্ত হননি অ্যাকারম্যান। এতদিন ধরে শীর্ষে থাকা মালয়েশিয়ান স্পিনার আরুল সুপিয়াহকে দুইয়ে নামিয়ে এক নম্বরে উঠে গেছেন এ প্রোটিয়া স্পিনার।
বুধবার বার্মিংহাম বিয়ারসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল লিস্টারশায়ার। পরে বল হাতে তারা বার্মিংহামকে গুটিয়ে দেয় মাত্র ১৩৪ রানেই। যার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান দলের অধিনায়ক অ্যাকারম্যানের। যিনি প্রতিপক্ষের প্রথম উইকেট থেকে শুরু করে নবম উইকেট পর্যন্ত একাই নেন ৭টি উইকেট।
নিজের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট পাননি অ্যাকারম্যান। দ্বিতীয় ওভারে নেন মাত্র ১টি উইকেট। তিনি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বোলিং করতে এসে প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম বলে নেন ৩টি উইকেট। পরে ১৭তম ওভারে আবার শিকার করেন ৩টি উইকেট। সবমিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ১৮ রান খরচায় শিকার করেছেন ৭টি উইকেট। তবে কোনো ওভারেই হ্যাটট্রিক করতে পারেননি তিনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড১. কলিন অ্যাকারম্যান (লিস্টারশায়ার): ৪-০-১৮-৭, প্রতিপক্ষ বার্মিংহাম, ২০১৯২. আরুল সুপিয়াহ (সমারসেট): ৩.৫-০-৫-৬, প্রতিপক্ষ গ্ল্যামারগন, ২০১১৩. সাকিব আল হাসান (বার্বাডোজ): ৪-১-৬-৬, প্রতিপক্ষ ত্রিনিদাদ, ২০১৩৪. লাসিথ মালিঙ্গা (মেলবোর্ন): ৪-১-৭-৬, প্রতিপক্ষ পার্থ, ২০১২ কাইল জেমিসন (ক্যান্টাবুরি): ৪-০-৭-৬, প্রতিপক্ষ অকল্যান্ড, ২০১৯৫. অজান্তা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা): ৪-২-৮-৬, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১২
এসএএস/জেআইএম