বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন ভারী ভারী গল্প-উপন্যাস লিখেছেন। তেমনি মানুষটি কিন্তু একেবারেই রাশভারী ব্যক্তি ছিলেন না। বরং বেশ রসিক মানুষ ছিলেন বলেই জানা যায়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় বেশকিছু ঘটনায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশিরভাগ সময় শান্তিনিকেতনেই কাটিয়েছেন।একবার তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বাঙালি ভূতত্ত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও সমাজকর্মী প্রমথনাথ। তখন সকালবেলা। রবীন্দ্রনাথ জলখাবার খেতে বসেছেন। প্রমথনাথ এসে তার পাশে বসলেন।
তার উদ্দেশ্য গুরুদেবের খাবারে ভাগ বসানো। ফল, লুচি, মিষ্টি সবকিছুরই ভাগ পেলেন তিনি। কিন্তু তার নজর একগ্লাস সোনালি রংয়ের শরবতের দিকে যেটা তাকে দেওয়া হয়নি। গুরুদেব তার ভাব লক্ষ করে বললেন, ‘কী হে এই শরবত চলবে নাকি?’
প্রমথ তাতে খুব রাজি। অমনি গুরুদেব বড় এক গ্লাসে সেই সরবত প্রমথকে দেওয়ার আদেশ দিলেন। বড় গ্লাস ভর্তি হয়ে সেই সোনালি শরবত এলো। প্রমথনাথ এক চুমুক খেয়েই বুঝলেন, সেটা চিরতার শরবত! ততক্ষণে পুরো মুখ তার তেতো হয়ে গেছে।
লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/জেআইএম