বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের প্রস্তাবিত ‘স্বেচ্ছায় অবসর’ (ভিএসএস) কার্যক্রমসহ ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত ও বেতন বন্ধকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। শ্রম আদালতে বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন একটি মামলা দায়েরের পর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতেও বলেছেন আদালত। আদালতে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ কর্মী হয়রানির এক নতুন পন্থা গ্রহণ করেছে। গত ২ ও ৩ মার্চ দুই দফায় ১৮ থেকে ২০ কর্মীর ল্যাপটপ নিয়ে নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেনের ল্যাপটপও রয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ছিল ভিএসএস-এর আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন আর ৬ মার্চ তার ফলাফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল। আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারির পর এখনো পর্যন্ত বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ ভিএসএস কার্যক্রম স্থগিত করেনি। এ বিষয়ে জানতে বাংলালিংকের দায়িত্বশীল কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতিকে কেন্দ্র করে গেল ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বাংলালিংকে জটিলতা চলছে। এখন তা আদালত পর্যন্ত গড়ালো। আরএম/এনএফ/এবিএস