কবিতাটি তার জন্য যাকে প্রথম দেখেছিলাম স্কুলের বারান্দায়
সব অসহায়ত্বের গায়ে একদিন কদম ফুটবেকফি মেশিনে টাচ করতেই বিদেশি সৌরভে ভরেউঠবে ঘর; মাস খরচের টাকা বাবার হাতে দেওয়ার পরদেদারসে ঘুরে আসার সামর্থ থাকবে দার্জিলিংগোটা দশেক কবিতা তোমার নামে উৎসর্গ করেঅশ্বমেধের ঘোড়া হয়েনির্বিবাদে ছুটবো টগবগ করেতখন তুমি কত না দূরেকারো পালস রেট, কারো বুকের ব্যথা নিয়ে ব্যস্তডাক্তারি বিদ্যা দিয়ে বহু মানুষের কষ্ট লাঘব করবে সন্দেহ নেইঅথচ এই আমি, যে দস্তুর মতো তোমাকে ভালোবেসে গেলামতার বুকের ব্যথার খবর জানবে নাকেউ কেন ভালোবেসে ফেলে, কেন কষ্ট পায়ডাক্তারি বিদ্যায় কোনো পাঠ আছে কি না জানি নাশুধু একটি অনুরোধ, সাদা সালোয়ার কামিজ আর পরবে নানীল শাড়ি পরলে পরবে লুকিয়ে, ফেসবুকে ছবি দেবে নাআমার খুব কষ্ট হয়, ইচ্ছা করে পাশে গিয়ে দাঁড়াইকিন্তু যে যোগ্যতা, যে জোরে মানুষ মানুষকে আটকায়কোনোটিই কোনোদিন ছিল নাআমি চিরদিনই ব্যর্থ মানুষ; সফলতা শুধু এই—তোমাকে ভালোবেসে তোমার জন্য রচনা করছি জীবন প্রতিষ্ঠান।
****
বিভ্রান্তি
সকালের চায়ের কাপে লেগে থাকা শেষ চুমুকের মতো তোমার চিবুকে, ঠোঁটে, গালে কোথাও কি এক ফোঁটা আমি লেগে নেই
বিষণ্ন দুপুরে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার পরজোড়াতালি দেওয়া লাল কালো সংশয়মাকড়সার জালের মতো ঘিরে ধরেনক্ষত্রের সমান অভিশপ্ত জীবনে বারংবার প্রশ্ন জাগেতোমার চিবুকে, ঠোঁটে, গালে কোথাও কি এক ফোঁটা আমি লেগে নেই
****
তেইশ বসন্তের পর
যে মেয়েটি সদ্য পছন্দ করতে শুরু করেছেঅনায়াসে তাকে জড়িয়ে নিতে পারতামখুব যে সমস্যা হতো; অভাব-অনটনযোগ্যতা-অযোগ্যতার ভয়চাকরি হবে কি হবে না চিন্তা তা কিন্তু নয়বরং সমস্যা নেই জেনেই চুপ করে থাকাআজকাল পোড় খাওয়া ব্যাংকারের মতোন হয়ে গেছিসহসাই ধরে ফেলি হিসেবের ভুলকেউ ডেকে মন্দ বলে, কেউ হয় মশগুল।
****
পুরোনো রিংটোন
যেটুকু বাকি রয়ে গেল, যা চলে গেছে বাদের খাতায়হারানো মেঘদূত, লিও টলস্টয়;হারমোনিক অপেক্ষার পর দুপুর রাতেবাঁধন ভাঙার গান;বিছানার কোমল আদরে ব্যঞ্জনা শেষে জেগেছে শরীরআত্মীয়তার বাঁধনে যে অনাত্মীয় বন্ধু আজযেটুকু বাকি রয়ে গেল, যা আছে অসমাপ্ত কাজসকলই তার হাতে থাক;পলাতক মাছের মতো যে মানুষ পরে থাকে জলের খোলসজীবনের বৃত্তে আমি কি সে নাকি অন্য কেউ;শূন্যতার দণ্ডে যে কিনে নিতে পারে এক পুকুর পদ্ম ফুল।
এসইউ/জেআইএম