অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে নাজমুল হুদার নতুন ধারার নিউরো থ্রিলার ‘প্যাসিভ পুরুষ’। বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ। পাওয়া যাবে বইমেলার ২৫ নম্বর প্যাভিলিয়নে।
নারী-পুরুষের সম্পর্কের সমীকরণ, মন-হরমোনের টানাপোড়েন, ম্যুড স্যুইংসহ মনস্তাত্ত্বিক নানা বিষয় নিয়ে নিউরো থ্রিলারটি রচিত। যেখানে এক প্রকৌশলী তার সুশ্রী স্ত্রীকে নিয়ে মারাত্মক সন্দেহবাকিতা বা ‘ওথেলো সিনড্রমে’ ভুগতেন। নিজের চাকরি, চেহারা নিয়ে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্সের কারণে একসময় তার মধ্যে ইমপোস্টাল সিনড্রোম প্রকট হয়ে ওঠে।
একরাতে রাজধানীর এক কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে সেই প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়! ফুসে ওঠে পেশাজীবী পরিষদ; গণমাধ্যম সরগরম হয়ে ওঠে, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে! মামুলি মামলা মুহূর্তে হয়ে ওঠে ‘টক অব দ্য টাউন’! হত্যা, আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনা এ তিন আশঙ্কা আমলে নিয়ে তদন্ত এগোতে থাকে। কাহিনির কানাগলি বেয়ে বর্ণনার বুননে পাঁচটি পর্বে প্রবাহিত হয় ঘটনা।
আরও পড়ুন রাসেল মাহমুদের ‘এই পাওয়া না পাওয়ার শহরে’ বইমেলার ষষ্ঠদিনে এলো ৮০ নতুন বইপ্রতি পর্বের নামগুলোও অভিনব; পা-পর্ব, পীড়ন পর্ব, প্রেষণা পর্ব, প্রস্থান পর্ব এবং পরম পর্ব। কিছু চমকপ্রদ শব্দও যুক্ত হয়েছে বইটিতে। যেমন- ‘হাফ হাজব্যান্ড’, ‘রানিংমেট’, ‘স্যাপিওসেক্সয়ুাল, ইমপোস্টাল সিনড্রোম ও দুঃখবিহীন বৃক্ষ।
দ্বিপাক্ষিক সংলাপেও ফুটে ওঠে গভীর দর্শন, যেমন- ‘ভালো থাকাটা আপেক্ষিক। স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হয় মাত্র’। ‘পৃথিবীতে পারফেক্ট বলে কিছু নেই, জিন থেকে সব সময় জিনিয়াস জন্ম হয় না’। ‘মেয়েদের জীবনটা আসলে জলে ভাসা পদ্ম। একবার ঘরছাড়া মানে আর না ফেরা।’ ‘ক্যারিয়ার হলো জিলাপির প্যাঁচ, চাকরি চক্রে আমুত্যু আটকে থাকে জীবন’।
নাজমুল হুদার জীবনবোধ ও অনবদ্য গদ্যধারা বইটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। এর আগে তার লেখা ‘ক্যারিয়ার ক্যারিশমা’, ‘এক্স ফ্যাক্টর’, ‘বিজ্ঞান বিভ্রাট’, ‘জিনিয়াস জিসান’, ‘বিতর্কে হাতেখড়ি’ ও ‘অনূর্ধ্ব ঊনিশ’ বইগুলো তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
এসইউ/জিকেএস