২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ও অন্যান্য অপরাধে ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৩৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ও অন্যান্য অপরাধে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৩৪৩ জন এবং অন্যান্য মামলা ও ওয়ান্টেমূলে গ্রেফতার ১ হাজার ১৭৮ জন।
অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র
Advertisement
অপারেশন ডেভিল হান্টে এ পর্যন্ত একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শটগান কার্তুজ, তিনটি ছুরি, তিনটি তলোয়ার, একটি কুড়াল, ১০টি ককটেল, ৮টি লাঠি, ৪টি রড এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’: সারাদেশে গ্রেফতার ১৩০৮ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
Advertisement
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
টিটি/ইএ/জিকেএস