দেশজুড়ে

বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচ কৃষককে মারধর, বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ

বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচ কৃষককে মারধরের ঘটনায় কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার পর উপজেলার গোরকমন্ডল সীমান্তের ৯২৯ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের চার নম্বর সাব পিলারের পাশে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম এবং বিএসএফের পক্ষে ভারতীয়-৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার অমিত কুমার নেতৃত্ব দেন।

সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে মাঠে কাজ করা কৃষকদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। এর জবাবে বিএসএফ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। এ ঘটনায় জড়িত বিএসএফ সদস্যদের শাস্তি প্রদানসহ ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি-বিএসএফের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কৃষ্ণানন্দ বকসী সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৮ নম্বর সাব পিলারের পাশে কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। এসময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের ১০-১২ জন বিএসএফ সদস্য কাঁটাতারের বেড়ার গেট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে কৃষকদের গালাগালি করতে থাকেন। কৃষকরা প্রতিবাদ করলে বিএসএফ সদস্যরা লাঠি দিয়ে তাদের এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করেন। এতে আহত হন পাঁচ কৃষক।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম জানান, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশি কৃষকদের মারপিটের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। জবাবে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর এবং জড়িত বিএসএফ সদস্যদের শাস্তি প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন।

জেডএইচ/এএসএম