দেশজুড়ে

অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎবিল তৈরি কথা স্বীকার করলেন তিনি

বাড়তি বিদ্যুৎবিল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঠাকুরগাঁও শহরের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা।মিটার রিডাররা বাড়িতে এসে মিটার না দেখেই বিল করায় প্রতিমাসে ব্যবহার করা ইউনিটের চেয়ে বেশি বা কম হারে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।জানা যায়, ঠাকুরগাঁও পৌরসভা এলাকায় বর্তমানে ২৬ হাজার গ্রাহক আছে। তার বিপরীতে সরকারিভাবে মিটার রিডার ৩ জন। মাত্র ৩ জন দিয়ে এত মিটার দেখা সম্ভব নয় বলে জানান বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা। তাই অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎবিল তৈরি কথা স্বীকার করলেন এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী।গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিলের কাগজে লেখা ইউনিটের সঙ্গে মিটারের ইউনিটের কোনো মিল পাওয়া যায় না। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তার চেয়ে বিলের টাকার পরিমাণ অনেক সময় বেশি লেখা থাকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, মিটার রিডারকে টাকা দিলে তারা প্রতি মাসে বিদ্যুৎবিল কম করে দেয়। বিভিন্ন বাড়িতে অটোচার্জার চার্জের জন্যও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেও সহযোগিতা করে থাকে এসব মিটার রিডাররা। আবার মিটার রিডার কম হওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত রিডাররা তাদের সহযোগিতার জন্য নিজ উদ্যোগে মিটার রিডার নিয়োগ দিয়ে থাকে।শহরের হাজিপাড়ার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম জানান, মিটার রিডাররা মিটার দেখে ইউনিট না লেখায় সারা বছরের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ইউনিটের অবশিষ্ট ইউনিটগুলো গ্রাহকদের বিদ্যুৎবিলের কাগজে তুলে দেয়া হয়। হঠাৎ করে বেশি টাকা বিদ্যুৎ বিল আসায় গ্রাহকদের চোখ কপালে উঠে যায়। আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলী জানান, মিটার রিডাররা মিটার না দেখে বিল দেয়। তাই দেখা যায় কোনো মাসে বিল কম আসে আবার কোনো মাসে বেশি আসে। এতে বিল দিতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়।ঠাকুরগাঁও বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুক্তা মনি জাগো নিউজকে জানান, আমাদের লোকবল খুবই কম। প্রতি মাসে মিটার দেখে মিটার রিডারদের ইউনিট লিখার নিয়ম থাকলেও সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। সে কারণে অনুমান করে বিদ্যুৎ বিলের কাগজে ইউনিট লিখা হয়। এতে কম বেশি হতে পারে। কোনো গ্রাহকের এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকলে তারা অফিসে আসলে বিলের কাগজ ঠিক করে দেয়া হবে।রবিউল এহ্সান রিপন/এমএএস/এবিএস