বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। সেটাও আবার ঈদের ছুটিতে ১ এপ্রিল থেকে।
ভোজ্যতেলের কর–সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই দর কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। ভোজ্যতেল পরিশোধনের কারখানাগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে লিখিত জানিয়েছে।
কমিশনে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোজ্যতেলের (পাম ও সয়াবিন তেল) ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতি এবং আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসকের মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ১ এপ্রিল থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে তেল বাজারে সরবরাহ করতে হবে।
আরও পড়ুন ঈদ বাজারে ভ্যাট ফাঁকির মহোৎসব শুল্ক কমিয়েও বাজার পাচ্ছে না ভারতের পেঁয়াজএ কারণে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পাম ও সয়াবিন তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে। যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগের বোতলজাত ১৭৫ টাকা লিটারের তেলের দাম হবে এখন ১৯৩ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন ও পাম তেল প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়বে।
বোতলজাত সয়াবিনের দাম সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা। আগামী ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৩ টাকা। সেই হিসাবে লিটারে দাম বাড়ছে ১৮ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩৫ টাকা।
একইভাবে খোলা সয়াবিন ও খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৭০ টাকা। এখন সরকার নির্ধারিত দাম লিটারপ্রতি ১৫৭ টাকা। এ হিসাবে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে লিটারপ্রতি ১৩ টাকা।
এনএইচ/কেএসআর/এএসএম