কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহমেদকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এক নারী উদ্যোক্তাকে সরাসরি ও ফোনে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহানা সু্লতানা সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান।
সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা এক নারী উদ্যোক্তাকে সরাসরি ও ফোনে অনৈতিক প্রস্তাব দেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহমেদ। ওই কর্মকর্তার বাসভবনে গোপনে একান্তে সাক্ষাৎ না করলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সব সুবিধা থেকে ওই নারীকে বঞ্চিত করা এবং ঋণ পাশ না করার হুমকি দেন তিনি। এসব অভিযোগ তুলে গত ৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী উদ্যোক্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর কুমারখালী উপজেলাতে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মোরশেদ আহমেদ। তিনি কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টের সামনে সাদ্দাম বাজার এলাকার বাসিন্দা। এর আগে তিনি পাবনার ঈশ্বর্দী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগ দেওয়া ওই নারী উদ্যোক্তা বলেন, ‘সম্প্রতি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে তিনি প্রথমে সরাসরি অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে শহরের বাড়িতে ডাকেন। সেখানে না গেলে ফোনে বহুবার কুপ্রস্তাব ও বিভিন্ন হুমকি দেন। পরে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। আজ বদলির খবর শুনে খুবই আনন্দিত।’
ওই কর্মকর্তার বদলি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি পেয়েছেন বলে জানান কুষ্টিয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, এক নারী উদ্যোক্তার করা অভিযোগের একটি কপি দপ্তরে এসেছিল। তবে কী কারণে বদলি করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
আল-মামুন সাগর/এসআর/জেআইএম