লাইফস্টাইল

কিভাবে পেশাকে ভালোবাসবেন!

প্রত্যেক সাহসী উদ্যোক্তা পেশাদার কাজের মধ্যে মনের খোরাক মেটানোর উপকরণ খুঁজতে মুখিয়ে থাকেন। যেসব কাজে ভালোবাসার টান অনুভব করেন, তাকে পেশার সঙ্গে জড়িয়ে নিতে যেকোনো পরামর্শ আকাশের চাঁদের মতো। আবার সব কাজের কিছু না কিছু ভালো লাগার উপাদান থাকেই। এগুলো বের করে নিতেও চাই টিপস। পেশাগত কাটখোট্টা কাজে মমতা মেশানো গেলে সে কাজে মন-প্রাণ ঢালা যায়। এতে করে সফলতা খুব সহজে ধরা দিতে বাধ্য। এখানে নিন এমনই কিছু টিপস, যা পেশায় ভালো লাগার বিষয়গুলো খুঁজে নিয়ে আপনাকে সামনে এগিয়ে নেবে।কিছু না কিছু খুঁজে নিনকাজে যদি উদ্দেশ্য খুঁজে না পান, তবে পছন্দের বিষয়টি খুঁজে নিন। এই উপদেশটি দিয়েছিলেন বিশপ টিডি জেকস। মজার এবং উপভোগ্য কিছু করতে সবাই পছন্দ করেন। কিন্তু পেশাদার কাজে রসকষ থাকে না। তাই শখের কাজকে পেশার সঙ্গে জুড়ে দিতে মাথা খাটাতে হবে, প্রয়োজন একটু সৃষ্টিশীলতা। পছন্দের ওপর নির্ভর করেও উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা যায়। যেমন-কেউ যদি পরিবেশকে ভালোবাসেন, তবে তিনি পরিবেশবিষয়ক কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারেন।লক্ষ্য ও প্রাপ্তি নির্ধারণ করুনদীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় মানুষের উচিত একমাত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা, বলেছিলেন হেনরি ডেভিড থিরু। কে কী করছেন তা কোনো বিষয় নয়। আপনার কর্মপরিকল্পনা এবং উদ্দেশ্য প্রতীক্ষিত লক্ষ্যটি ঠিক করে দেবে। এটি না থাকলে এলোমেলো পথে ভাসতে হবে। আর লক্ষ্যের সঙ্গে প্রাপ্তির বিষয়টি হিসাবে থাকলে পরিণাম হবে ধারণারও বাইরে। সফলতার জন্য যে ইচ্ছা নিয়ে সামনে এগোচ্ছেন, তাতে জ্বালানি দেবে আপনার ভালো লাগা। পথে এগিয়ে যেতে নতুন নতুন পদ্ধতিকে সুচালো করবে ইতিবাচক আবেগ। পণ্যের বিক্রি বাড়াতে, কাস্টমার সার্ভিসকে সুষ্ঠু করতে এবং লক্ষ্য নির্ধারণে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে কাজের মধ্যে পছন্দের বিষয় খুঁজে নিন। লক্ষ্য স্থির থাকলে এবং পরিষ্কার ধারণা থাকলে আপনার মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা থাকবে না।দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলুনআশাবাদ এমন এক বিশ্বাস যা সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এটা হেলেন কেলারের উক্তি। নেতিবাচক বিষয়গুলো জয় করে উদ্দীপনার ক্ষয় রোধ করতে এবং আনন্দ ও ইচ্ছাশক্তি নিয়ে কাজে লেগে থাকতে আপনার কাছে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হতে হবে। সবারই কিছু না কিছুর অভাব রয়েছে। আবার কিছু জিনিস রয়েছে যা অন্যের থেকে আপনার মধ্যে বেশি। বিশেষ করে নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে নিজের বাড়তি গুণগুলোকে পুঁজি করুন। নিজের দক্ষতা ও পারদর্শিতা প্রয়োগে কর্মযজ্ঞ তৈরি করুন। যদি হেরে যাওয়া বা ব্যর্থতার সম্ভাবনা উঁকি দেয়, তবে নিয়মিত পথ থেকে সরে দাঁড়ান। দৃষ্টিভঙ্গি বদলান এবং নতুন কর্মপন্থা নির্ধারণ করুন।