‘একসময় ৫০ হাজার টাকায় বড় গরু পাওয়া যেতো। এখন এক থেকে দেড় লাখ টাকার গরুও চোখে পড়ে না। খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দামও বছরে বছরে বাড়ছে।’
Advertisement
কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কমলদহ বাজারে গরু কিনতে আসা জহির উদ্দিন।
টানা ভারী বৃষ্টির পর বুধবার (৪ জুন) থেকে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠৈছে। রেকর্ড পরিমাণ পশু উঠেছে হাটে। অন্যান্য বছর হাটে সাদা গরুর আধিক্য দেখা গেলেও এবার দেশি গরুর আধিক্য রয়েছে।
মিরসরাই উপজেলায় এবার ৩১টি স্থায়ী, অস্থায়ী গরুর হাট বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উপজেলার করেরহাটহাট ঘুরে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী এ বাজারে কয়েক হাজার গরু ও ছাগল বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। এসব পশুর মাঝে বেশিরভাগই দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা। তবে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার বাজারে সাদা গরুর আধিক্য কম দেখা গেছে।
Advertisement
সাইফুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘এবার দেশি গরুর দাম বেশি। বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছি না। কয়েকটি হাট ঘুরেও বাজেটের মধ্যে গরু মেলাতে পারিনি।’
তবে বিক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দেশি গরুর দাম একটু বেশি। কারণ গরুর খাদ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, তার প্রভাব পড়েছে উৎপাদন খরচের ওপর।
আবুতোরাব হাজী এগ্রোর মালিক মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, চলতি বছর তার খামারে দেশি-বিদেশি ২০টি গরু কোরবানি বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯ লাখ টাকা মূল্যের গরুও রয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে ‘কালা পাহাড়’। এটি বাজারে তোলা হয়েছে তবে এখনো বিক্রি হয়নি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, মিরসরাইয়ে এবার কোরবানির পশু সংকটের শঙ্কা নেই। উপজেলায় ৫৫০টি খামার রয়েছে। বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এক বা একাধিক কোরবানির পশু লালন-পালন করছেন। আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে পেশাদার ও মৌসুমি কসাইদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ে অবহিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
Advertisement
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ও জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মো. সেলিম বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে সব রকমের চাঁদাবাজি ও মারামারি বন্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এম মাঈন উদ্দিন/এসআর/জিকেএস