গোটা ভারতবর্ষের সঙ্গে মিল রেখে শনিবার (৭ জুন) পশ্চিমবঙ্গজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজে শামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
Advertisement
সকালে সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতায় ঈদের সবচেয়ে বড় নামাজটি হয় ফোর্ট উইলিয়ামের রেড রোডে। নামাজ পড়ান ইমাম কাজী ফজলুর রহমান। হাজারও মুসল্লি এই নামাজে অংশ নেন।
শিশু থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল কলকাতার রেড রোডের নামাজে। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
কলকাতার রেড রোড ছাড়াও পার্ক সার্কাস, নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, খিদিরপুর, ময়দানসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হয়।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা ও মসজিদগুলো রঙিন আলোয় সেজে উঠেছে।
কলকাতার বাসিন্দা আকরাম হাসান বলেন, ঈদে প্রতি বছর আমরা এখানে নামাজ পড়তে আসি। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তার হস্তক্ষেপে এই রেড রোডের সমস্যার সমাধান হয়েছে। আমি কালকেই পরিবারকে বলেছি, রেড রোডে যাবো নামাজ পড়তে। খুব খুশি হয়েছি। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।
নামাজ পড়তে আসা আরেক মুসল্লি আসিবুর রহমান বলেন, আল্লাহ সবাইকে খুশি রাখুন। রেড রোডে ঈদ জামাত আয়োজনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এখন সব ঠিক আছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই সমস্যা সমাধানের জন্য।
Advertisement
গত ৩১ মে ক্যালকাটা খিলাফত কমিটিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কামান্ড জানিয়েছিল, সামরিক প্রশিক্ষণের কারণে রেড রোডে নামাজের অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কথা জানার পর রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী জানার পর সেনাবাহিনী ইস্টার্ন কামান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঈদ জামাতের অনুমতি দেওয়া হয়।
ঈদে কলকাতায় যাতে কোনো ধরনের অশান্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে শহরজুড়ে থাকছে বাড়তি পুলিশি পাহারা। শহরের অলিগলিতে টহল দেবে বিশেষ বাহিনী। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপ্রীতিকর পোস্ট রুখতেও নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল।
ডিডি/কেএএ/