ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছেন প্রিয়জনের সঙ্গে গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া মানুষ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের পর আজই ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদসহ আশেপাশের এলাকার সড়ক-মহাসড়কে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রী পূর্ণ একের পর এক বাস এসে থামছে। বাস থেকে নেমে যাত্রীরা বাসার পথ ধরছেন লোকাল বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।
যাত্রাবাড়ী-সায়দাবাদ এলাকা এখন লাগেজ, ব্যাগ, বস্তা বহনকারী গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের আনাগোনায় মুখর। অনেককেই গ্রামে কোরবানি দেওয়া গোশত বহন করতেও দেখা গেছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর হওয়ার আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে বিপুল সংখ্যক বাস যাত্রী নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত রাজধানীতে ফিরতে সড়কে যানজট কিংবা বড় কোন সমস্যার কথা শোনা যায়নি।
Advertisement
বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পোস্তগোলা সেতু পার হয়ে জুরাইন, দোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে নামছেন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মেডিকেল, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী সায়েদাবাদ এসে নামছেন।
অনেকেই বাসে এসে সায়েদাবাদে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে নামছেন। ফ্লাইওভারের ওপরে নামা যাত্রীদের সায়েদাবাদ অংশের ঢাল বেয়ে নিচে নামতে দেখা গেছে।
চাঁদপুর রুটে চলাচল করা পদ্মা এক্সপ্রেসের চালক মো. শাহ আলম বলেন, আজকে যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি। পুরো গাড়ি ভরে যাত্রী নিয়ে এসেছি। আগামী কয়েক দিন এ চাপ থাকবে।
গত শনিবার সারাদেশে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এবার সরকারি কর্মচারীরা টানা ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন। গত ৫ জুন শুরু হওয়া ঈদের ছুটি আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
Advertisement
আরএমএম/এমকেআর/এমএস