জাতীয়

ঢাকার সড়ক আজও ফাঁকা, সহজেই যাওয়া যাচ্ছে গন্তব্যে

ঢাকার সড়ক আজও ফাঁকা, সহজেই যাওয়া যাচ্ছে গন্তব্যে

ঈদুল আজহায় এবার ১০ দিনের লম্বা ছুটি। ঢাকা ছেড়েছেনও অন্যবারের তুলনায় বেশি মানুষ। ফাঁকা হয়ে পড়েছে রাজধানী। এর সঙ্গে তীব্র গরম। অফিস বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। এতে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা কম। গণপরিবহনেও নেই ভিড়।

Advertisement

ফলে ঈদের ষষ্ঠ দিনেও অনেকটা ফাঁকা ঢাকার সড়ক। প্রয়োজনের তাগিদে যারা বের হচ্ছেন, তারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছেন। তবে গণপরিবহন কম থাকায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। রোদের মধ্যে বাসের অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের।

যাত্রীরা বলছেন, বাস চলাচল করছে কম। তবে গাড়িতে উঠতে পারলে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারছেন। স্বাভাবিক সময়ে যে পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা লেগে যায়, সেখানে যেতে এখন ১৫-২০ মিনিটের বেশি সময় লাগছে না। এতে খুশি যাত্রীরা।

আরও পড়ুন যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদে ঢাকামুখী মানুষের চাপ

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

Advertisement

সরেজমিন দেখা যায়, বিমানবন্দর থেকে কুড়িল-বাড্ডা-মালিবাগ হয়ে পল্টন অভিমুখী সড়কে কোনো যানজট নেই। মাঝেমধ্যে বাসের দেখা মিলছে। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও কম। রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দাপট। মানুষের চলাচল কম থাকায় মোড়ে মোড়ে রিকশাচালকরাও অলস সময় পার করছেন।

গুলশান-মহাখালী সড়কও ফাঁকা। বিজয় সরণিতে ট্র্যাফিক সিগন্যালে যাত্রী-চালকদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যানজট নেই মিরপুরের বিভিন্ন সড়কেও। এছাড়া পল্টন, গুলিস্তানসহ যানজটের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত সড়কগুলোও এখনো ফাঁকা।

উত্তরা থেকে পল্টনগামী ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক আমজাদ বলেন, সকাল থেকে গাড়ি চালাচ্ছি। প্রতিদিন বাড্ডা থেকে গুলিস্তান যেতেই এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু আজ ১৫-১৬ মিনিটেই গুলিস্তানে পৌঁছে গেছি।

আকাশ পরিবহনের পল্টন থেকে উত্তর বাড্ডায় আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এ রাস্তায় আসতে কমপক্ষে ৪৫ মিনিট লাগে। জ্যাম থাকলে তো আরও বেশি। কখনও কখনও দেড় ঘণ্টাও লাগে। আজকে এলাম মাত্র ২০ মিনিটে। এক ঘণ্টার রাস্তায় ২০ মিনিট লাগলো। সারা বছর এমন থাকলে খুবই ভালো হতো।

Advertisement

আরও পড়ুন ট্রেনে স্বস্তিতেই ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ

বৈশাখী পরিবহনে শ্যামলী থেকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে আসা রাজিব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার এ রাস্তায় আসাটাই দায় হয়ে পড়ে। শাহীন স্কুল, মহাখালী, আমতলী, টিবি গেটে থেমে থেমে বাসে আসে। অথচ আজকে বৃহস্পতিবার; মাত্র ২০-২২ মিনিটে চলে এসেছি। রাস্তায় কোনো জ্যাম নেই।

গুলশান-১ মোড় এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির পর থেকে সড়কে গাড়ি কম। ঈদের পরদিন থেকে আরও বেশি ফাঁকা। ধীরে ধীরে আবার মানুষের চলাচল বাড়ছে, গাড়িও বাড়ছে। তবে গরমের কারণে মানুষ বের হচ্ছে কম। আগামী রোববার থেকে আবারও চাপ বাড়তে পারে। গাড়ি ও মানুষের চাপ বাড়লে যানজটের ভোগান্তি শুরু হবে।

এএএইচ/এমকেআর/জিকেএস