পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষের দিকে। এরইমধ্যে ঢাকা ফেরা শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। চাপ এড়াতে অনেকেই আগে আগে চলে আসছেন। তারপরও চাপ এড়ানো যাচ্ছে না। তাদের ঢাকা ফেরার কষ্ট বাড়াচ্ছে দীর্ঘ যানজটের যন্ত্রণা।
Advertisement
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঢাকায় ফেরা গাড়ির স্টাফ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় ফেরার সময় সবচেয়ে বড় সংকট সড়কের জ্যাম। এ ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা নেই। অতিরিক্ত ভাড়া বা বাড়তি ভাড়ারও কোনো অভিযোগ নেই।
ঢাকা এক্সপ্রেসের হেলপার লাল মিয়া জানান, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টায় ছেড়ে ঢাকা এসে পৌঁছান আজ দুপুর দেড়টায়। স্বাভাবিক সময়ে ওই সময়ে রওয়ানা দিয়ে ভোর সাড়ে ৪টা বা ৫টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতেন। অর্থাৎ ১০ ঘণ্টার যাত্রাপথে এখন ২০ ঘন্টা লেগেছে।
তিনি আরও জানান, গাড়ির যাত্রীরা এত বেশি ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত যে, কথা বলার মতো শক্তিও নেই।
Advertisement
রাব্বি নামের একজন বলেন, এত জ্যাম রাস্তায়। ১০ ঘণ্টার জায়গায় ২০ ঘণ্টা লেগেছে। শরীর টায়ার্ড, পেটে ক্ষুধা। কথা বলার অবস্থা নেই।
লোটন এন্টারপ্রাইজে সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছেন সাব্বির। তিনি জাগো নিজকে বলেন, রাস্তায় কিছুটা জ্যাম ছিল। তবে ঈদে তো এটা স্বাভাবিক ব্যপার।
শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার কাজী বাবুল বলেন, এখন ঢাকা থেকে সব গাড়ি খালি যাচ্ছে। আসছে ভর্তি হয়ে। ফিরতি পথে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। যার কারণে ঢাকায় গাড়িরও সংকট আছে।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার বয় রাজিব বলেন, গাড়ি আসছে ভরপুর যাত্রী নিয়ে, যাচ্ছে খালি। আসার পথে সময় লাগছে জ্যামের কারণে। তবে নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছেন তারা।
Advertisement
এসইউজে/এএমএ/এএসএম