১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) ফেল করা প্রার্থীরা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
Advertisement
রোববার (১৫ জুন) সকাল ৯টা থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে ফেল করানো হয়েছে। ভাইভা বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে পাসের হার কম হয়েছে। বিতর্কিত এ ফলাফল বাতিল করে পুনর্মূল্যায়ন অথবা যে ভাইবা বোর্ডে অস্বাভাবিক হারে ফেল করেছে, সেখানে তদন্ত করা হোক।
রাজবাড়ী থেকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় আসা আব্দুল ওহাব বলেন, ভাইভা বোর্ডে তাকে পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি চারটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন। তবুও তাকে ফেল করানো হয়েছে। অথচ তিনি প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়েছিলেন। অনেকে তার চেয়ে কম প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও উত্তীর্ণ হয়ে গেছেন। সেজন্য তিনি এ ফলাফলকে বিতর্কিত অভিহিত করে পুনর্মূল্যায়নের দাবি করছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
ভাইভা দেওয়া সবাইকে পাস ঘোষণার দাবি, না মানলে আমরণ অনশনশিক্ষক নিবন্ধনে থাকবে শুধু লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, বাদ যাচ্ছে প্রিলিকুমিল্লা থেকে আসা নজরুল ইসলাম জানান, ভাইভাতে তাদের অনেককে একটিমাত্র প্রশ্ন করা হয়েছে। তারা সেটি সঠিক উত্তরও দিয়েছেন। তারপরেও তাদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী। ফেল করেন ২০ হাজার ৬৮৮ জন।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে রেকর্ড প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিতে পাস করেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী।
Advertisement
২০২৪ সালের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর। এতে পাস করেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন।
এএএইচ/এএমএ/এমএস