সাহিত্য

সাহিত্য আড্ডা চৈতন্যের বৃত্তাবদ্ধতা দূর করে

সাহিত্য আড্ডা চৈতন্যের বৃত্তাবদ্ধতা দূর করে

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, লেখক ও গবেষক প্রফেসর ড. মুহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘সাহিত্য একটি চর্চার বিষয়। চর্চা না থাকলে কোনো জিনিসই তার সঠিক জায়গায় টিকে থাকে না। সেই চর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা ও সাহিত্য আড্ডা। সাহিত্য সভা বা সাহিত্য আড্ডার মধ্য থেকে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি হয়। এই আড্ডার ধরাবাহিকতা প্রয়োজন। সে বিবেচনায় সারেঙের ঈদ পুনর্মিলনী ও ফল উৎসব যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের অন্যতম সাহিত্যিক রামসুন্দর ত্রিবেদী সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করতেন। সে আড্ডায় বহু গুণী সাহিত্যিকরা অংশগ্রহণ করতেন। একবার বঙ্কিমচন্দ্রকে সাহিত্য আড্ডায় ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্কিম সে মালা রবীন্দ্রনাথকে পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, আমার পরে রবীন্দ্রনাথ হবে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। সেই ধারাবাহিকতায় সাহিত্যের চর্চা ও আড্ডাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

ড. আসাদুজ্জামান ২০ জুন রাজধানীর মালিবাগে সারেঙ সাহিত্য সভা আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী ও ফল উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সারেঙ সম্পাদক আবদুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লেখক গবেষক ও কবি ড. মাহবুব হাসান, লেখক গবেষক জমির উদ্দিন মিলন।

আরও পড়ুন শিশুসাহিত্যে মরণোত্তর পুরস্কার পেলো রাইদাহ গালিবা  স্মারক বক্তৃতায় সেই ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য’ 

সারেঙের উপদেষ্টা ড. মাহবুব হাসান বলেন, ‘সাহিত্য আড্ডা একটি ফল্গুধারা, যার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। এটি বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের চৈতন্যের যে বৃত্তাবদ্ধতা তা থেকে আমরা অনেকেই বের হতে পারি না। আড্ডার মধ্য দিয়ে সে বৃত্তাবদ্ধতা দূর হয়। আমরা এমনিতেই ফল খাই কিন্তু সারেঙ ফল উৎসব একটি চৈতন্যের ধারাবাহিকতা। আড্ডা জীবনের অংশ। এখান থেকে গল্প, কবিতা, উপন্যাসের উপাদান আমরা পেয়ে থাকি। সারেঙের আয়োজন নিয়মিত ও অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।’

Advertisement

লেখক গবেষক জমির উদ্দিন মিলন বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে আড্ডার গুরুত্ব অপরিসীম। বড় বড় কবি-সাহিত্যিকরা আড্ডার মধ্য দিয়ে সাহিত্যের রসদ জুগিয়েছেন। সাহিত্য আড্ডার মধ্য দিয়ে জাতিকে পদ দেখিয়েছেন। সারেঙের সাহিত্য আড্ডার মধ্য দিয়ে আমরা কবি-সাহিত্যিকদের মাঝে গভীর মেলবন্ধন তৈরি করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লেখক ফজলুল হক খান, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক জামালুদ্দিন বারী, কবি সাঈদুজ্জামান শিপন, কবি ও লেখক ওয়াহিদ জামান, পুথিপ্রকাশের পরিচালক কবি সুজন বিশ্বাস, কচিপাতা সম্পাদক আলেয়া বেগম আলো, লেখক সাফিকুল ইসলাম সোহেল, কবি আমিনা নাজনীন ডানা, কবি ঝরনা দেবী প্রমুখ।

এসইউ/জিকেএস

Advertisement