রাজধানীর মগবাজারের একটি হোটেলে ‘খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায়’ মৃত স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. জাকিয়া তাসনিম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
মৃতরা হলেন- সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেন (৪৫), স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৬) ও ছেলে নাঈম হোসেন (১৮)। তারা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের ছেরাজুল হক ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা।
ডা. জাকিয়া তাসনিম বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে সুরতহাল দিয়েছিল পুলিশ। মরদেহ দেখে আমাদেরও তাই মনে হয়েছে। মরদেহ থেকে রক্ত ও ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেটা পরীক্ষার জন্য মহাখালীতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মৃতদের আত্মীয় মো. মিজান বলেন, আমার ভাতিজা নাঈম শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তার বাবা-মা ঢাকায় আসে। এসে মগবাজারের হোটেল সুইট স্লিপে ওঠে। ওখানেই একটি হোটেল থেকে খাবার এনে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থা মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা তিনজনের মরদেহ গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাবো। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সুরতহালের বিষয়ে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন বলেন, তিনজনের সুরতহাল সম্পন্ন করেছিলাম। তিনটি মরদেহে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, শনিবার (২৮ জুন) ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন মনির হোসেন ও স্বপ্না আক্তার। তারা মগবাজারের হোটেল সুইট স্লিপে ওঠেন। সেখানে তারা রাতে পাশের ‘ভর্তা ভাত’ নামের একটি হোটেল থেকে খাবার এনে খান। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনেরই মৃত্যু হয়।
কাজী আল-আমিন/বিএ/এএসএম