ঢাকায় হোটেলে ‘খাবার’ খেয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৮:০৫ পিএম, ২৯ জুন ২০২৫

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খাবার’ খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এমনটি ঘটে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতরা হলেন সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৬) ও ছেলে নাঈম হোসেন (১৮)। তারা লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের ছেরাজুল হক বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।

রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় ডিএমপির রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাকির হোসেন মৃধার ভাষ্যমতে, মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত। তারা শুনেছেন খাদ্যে বিষক্রিয়ায় প্রবাসী মনির ও তার স্ত্রী-সন্তান মারা গেছেন। তবে তাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী ছেলে নাঈমের চিকিৎসার জন্য স্ত্রী স্বপ্নাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় আদ্ব-দীন হাসপাতালে যান মনির হোসেন। শনিবার (২৮ জুন) হাসপাতালে গেলেও সিরিয়াল না পেয়ে ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি। পরে রাতে মগবাজার সুইটস স্লিপ নামের একটি হোটেলে রাতযাপন করেন। সেখানেই খাবার খাওয়ার পর তারা বমি করতে থকেন। পরে তাদের আদ্ব-দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোববার সকালে স্বপ্না, এর কিছুক্ষণ পর নাঈম ও দুপুরের দিকে মনির মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তারা মারা গেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মনির সৌদি প্রবাসী ছিলেন। তিনি সেখানে ব্যবসা করতেন। অসুস্থ ছেলেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনিও মারা গেছেন। রোববার সন্ধ্যায় পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়নি।

ডিএমপির রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই একই পরিবারের তিনজন মারা গেছেন। এরসঙ্গে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

কাজল কায়েস/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।