ভোলার বোরহানউদ্দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে চিকিৎসায় অবহেলায় দুই হাত ও একটি পায়ের কিছু অংশ কেটে ফেলা শিশুর মা সফিকুল ইসলামসহ দুজনের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শিশুর বাবা মো. মোসলেম জানান, ২৪ এপ্রিল বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যান আমার স্ত্রী। হাসপাতালের গেটে গেলে ওই এলাকার ফার্মেসি ব্যবসায়ী আকিব উল্লাহ সঙ্গে দেখা হয়। আমার স্ত্রীকে ভালো ডাক্তার দেখিয়ে দিবে বলে আকিব তার ফার্মেসির চেম্বারে বসা সফিকুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান। তানভীরকে দেখার পর সফিকুল ইসলাম টেস্ট করার জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। রিপোর্ট আসলে তানভীরের ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে বলে চারটি ইনজেকশন করার। এরপর কিছুক্ষণ পর শিশুটির হাত-পাসহ শরীরের কালো বিচি উঠতে থাকে। এরপর তার এলার্জির সমস্যা বলে আরও একটি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে গেলে শরীরের চামড়া ফুলে অস্বাভাবিক হয়ে যায়। তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে বরিশালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে তানভীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য জমি-জমার বিক্রি করে প্রায় ১০ থেকে ১১ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার এসআই অসীম কুমার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এমএস