শেরে বাংলায় খেলা মানেই একটা প্রশ্ন, ‘আচ্ছা উইকেট কেমন হবে? রান কী হবে, নাকি লো স্কোরিং গেম?’ সম্ভবত হোম অব ক্রিকেটের আচরণ নিয়ে সংশয়ে থাকেন খোদ বিসিবি কর্তারাও। আর তাইতো বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে হোম অব ক্রিকেটের পিচ দেখতে সরাসরি মাঠে চলে এলেন দুই বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সঙ্গে শেরে বাংলার প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা।
পিচের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তারা অনেকক্ষণ কথা বললেন। পিচের চরিত্র নিয়েই হয়তো কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার কাছ থেকে ধারণা নিলেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি প্রধান মাহবুব আনাম ও ক্রিকেট অপস চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
সেটাই শেষ নয়। এর পর বিকেল ৫টায় কনফারেন্স হলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে একা একা বেশ অনেকটা সময় ধরে শেরে বাংলার পিচ দেখলেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস।
সেই দেখা বিফলে যায়নি। প্রেস মিটে এসে অন্তত দুই-তিনবার পিচ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন টাইগার ক্যাপ্টেন। জানতে চাওয়া হলো উইকেট দেখে কী মনে হলো আপনার?
ইতিহাস ও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিপিএলের সর্বশেষ আসরে শেরে বাংলায় গড়পড়তা স্কোর লাইন ছিল ১৫০-এর বেশি। আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সবশেষ ৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেই পিচেই গড়পড়তা রান উঠেছে ১২৫।
এই মাঠেই গড়পড়তা ১২০-১২৫ রানের পিচ বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। এবার পাকিস্তানের সাথেও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা আছে?
বিপিএলে রান উঠলেও জাতীয় দলের খেলা ভিন্ন বলেই মনে করেন লিটন। তার কথা, ‘বিপিএলে আমার মনে হয় না, প্রত্যেক দলে ৫টা মানসম্পন্ন বোলার থাকে। তাই ২-১টা বোলারকে টার্গেট করলে রানটা বেড়ে যায়। তবে জাতীয় দল ভিন্ন জায়গা। প্রতিটি দলে ৫-৬টা মানসম্পন্ন বোলার থাকে।আমার মনে হয়, হাই স্কোরিং না হলেও খেলাটা জমবে খুব। দুই দলই কাছাকাছি থাকবে।’
২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলে ওঠেন, ‘ওই ২ সিরিজে ব্যাটার হিসেবে অনেক ক্রিকেটারেরই ক্যারিয়ার ডাউন হয়ে গেছে। আমি যদি বোলার হতাম, হয়তো আমার ক্যারিয়ারও বিল্ড-আপ হতো ওই উইকেটে খেললে (হাসি)। তবে একই সময়ে ব্যাটারদের জন্য আবার খারাপ ছিল। আমার মনে হয় না, ওই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হবে। উইকেট দেখে ভালো মনে হয়েছে। একটা ইভেন গেম হবে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম