গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষে নিহতদের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত না করা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:
পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে গুলি করেছে সেনাবাহিনীএতে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।
এতে আরও বলা হয়, সেদিন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথম মৃতদেহটি যখন আসে তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর রোগীর স্বজনদের ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেওয়ার কথা বললে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক মরদেহ নিয়ে যায় তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপরই সংঘর্ষে নিহত বাকি মৃতদেহগুলোও স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয়নি, একইসঙ্গে হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক মৃতদেহ নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
বুধবার গোপালগঞ্জে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, নিহতদের স্বজনরা দাবি করেন, ঘটনার দিন হাসপাতাল কিংবা প্রশাসন থেকে কোনো সহায়তা পাননি তারা।
আরও পড়ুন:
প্রয়োজনে মরদেহ কবর থেকে তোলা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাঅপরদিকে, শনিবার (১৯ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের মরদেহ প্রয়োজনে কবর থেকে তোলা হবে। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে নিহতদের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত সম্ভব হয়নি। প্রয়োজন হলে গোপালগঞ্জে দাফন করা মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে।
এমইউ/এসএনআর/জেআইএম