পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর সঙ্গে যুক্ত কয়েক ডজন নেতাকর্মীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা মালিক আহমদ ভাচার, এক বর্তমান ও এক সাবেক সংসদ সদস্য এবং আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ পিটিআই নেতা।
সরকারের ডেপুটি আইনমন্ত্রী আকিল মালিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির বিরোধী নেতা মালিক আহমদ ভাচারকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>
সারগোধার আদালতে ৩৪ জনকে ও লাহোরের আদালতে ৮ জনকে ২০২৩ সালে ইমরান খানের গ্রেফতারের পর সহিংসতায় অংশগ্রহণ, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়।
লাহোরে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা, সাবেক প্রাদেশিকমন্ত্রী ইয়াসমিন রাশিদ এবং সিনেটর ইজাজ আহমদ চৌধুরী।
তবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ও আরও পাঁচজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ইমরান খানের দল পিটিআই একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার বলে দাবি করেছে। দলের মুখপাত্র সাইয়েদ জুলফিকার বুখারী এক বিবৃতিতে বলেন, এই বিচার একটি রাজনৈতিক নাটক, যা দ্রুততার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাসে ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পর সারাদেশে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় সেনা স্থাপনায় হামলা হয়। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিচার চলছে। যারা সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচার সামরিক আদালতে হচ্ছে।
ইমরান খান বর্তমানে কারাগারে বন্দি। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলার বিচার চলছে। জাতিসংঘের এক প্যানেল এর আগে বলেছে, ইমরান খানের গ্রেফতার অবৈধ এবং তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখার উদ্দেশ্যে করাগারে রাখা হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম