দেশজুড়ে

ব্রিজ পার হতেই লেগে যায় তিন ঘণ্টা!

ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু) পারাপার হতে লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। কিন্তু সেই ব্রিজ আজ বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে পার হতেই লেগে যায় তিন ঘণ্টার মতো। তীব্র যানজটে এই দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এরমধ্যে গরমে দীর্ঘক্ষণ যানবাহনে আটকে থাকায় ভোগান্তি বেশি হয়।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ব্রিজটিতে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের একপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও অন্য পাশে তীব্র যানজট। যানজট থাকায় চালকরাও গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।

ব্রিজের মাঝখানে বন্ধ থাকা একটি বাসে ছিলেন নাফিজা খাতুন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শেরপুর থেকে পরিবারের চার সদস্য ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। এই ব্রিজে প্রবেশের আগ পর্যন্ত আসতেই যানজটের কবলে পড়েছি। আড়াই ঘণ্টার মতো বসে আছি। তবুও ব্রিজ পার হতে পারিনি।

জাহিদুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের যানজট নিরসনে তেমন তৎপরতা নেই। ফলে যানজটও কমছে না। গরমের মধ্যে ঘেমে একাকার হচ্ছি। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন।

দীর্ঘক্ষণ যানজটে থাকার পর ব্রিজটি পার হয়েছেন মোটরসাইকেল চালক শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ব্রিজে প্রবেশের আগে ময়লাকান্দা এলাকার পর থেকেই যানজটের সৃষ্টি। ব্রিজ পর্যন্ত আসতেই যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি উল্টো পথে চলাচল করতে কোনো বাঁধার মুখে না পড়লেও মোটরসাইকেলসহ অন্য কোনো যানবাহন উল্টো পথে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। তীব্র গরমের মধ্যে ব্রিজটি পার হতে আমার তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।

ঢাকা-শেরপুর সড়কে চলাচল করে সুপার সনি নামের বাস। এই বাসের চালক হারুনুর রশিদ বলেন, যানজটের কারণে গাড়ির তেল বেশি খরচ হয়। ফলে যানজট নিরসন না হওয়ায় গাড়ি বন্ধ রাখি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু নাছের মো. জহির বলেন, ব্রিজটি সরু। সে তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া আজকে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের চেষ্টার কমতি নেই।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জেডএইচ/এমএস