চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ৮ নম্বর পাহাড়তলীর নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মোয়াজ্জেমকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি ফান্ডে নিকাহ রেজিস্টারকে এ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুর গনি ও বিচারপতি এসকে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন সজিব। কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে রুল খারিজ করে এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেহান হোসেন। মামলায় রেসপনডেন্ট নম্বর-৫ বশির উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জয়নুল আবেদীন (সজীব) এবং সঙ্গে ছিলেন দিলরুবা আফরোজ (সিমা)। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ছিলেন মো. মোহাদ্দেশ উল ইসলাম (টুটুল)।
কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন ২০০৫ সালে একই উপজেলার ৮নম্বর কদলপুর এবং ৯নম্বর পাহাড়তলী ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হিসেবে স্থায়ী লাইসেন্সের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট নির্দেশ দেন নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শুধু ৮নম্বর কদলপুর ইউনিয়নে কাজী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
Advertisement
ওই রায়ের বিষয়টি গোপন রেখে পুনরায় ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ কাজী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আবারও রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করে ওই ইউনিয়নের স্থায়ী কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত প্যানেল স্থগিতের আদেশ দেন। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনের আগের রিট পিটিশনের আদেশ গোপন রাখার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় হাইকোর্ট কাজী মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার দায়ের করা রিটটি খারিজ করে দেন।
এফএইচ/এমএএইচ/এএসএম