মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক। স্থানীয় সময় রোববার গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর আগে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের অংশ হিসেবে আকাশপথে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, অঞ্চলটিতে নির্দিষ্ট মানবিক করিডোর খোলা হবে বলেও জানিয়েছে তারা। গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি গভীরতর হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেলআবিব।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার মিশর থেকে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার তিনটি এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। মানবিক সহায়তা সহজতর করতেই এই ‘কৌশলগত বিরতি’ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
রোববার (২৭ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তা প্রতিদিন চালু থাকবে। যেসব এলাকায় সামরিক তৎপরতা বিরত রাখা হবে সেগুলো হলো—মুওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা শহরের কিছু অংশ।
মিশরের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এর আগে সীমান্ত এলাকায় ট্রাকের ফুটেজ শেয়ার করে ত্রাণবাহী ট্রাক চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।
তবে রাফাহ সীমান্ত অতিক্রমকারী ট্রাকগুলি সরাসরি গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না কারণ গত বছর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি দিকটি দখল করে নিয়েছিল এবং এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর পরিবর্তে, তাদের কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরিয়ে নিকটবর্তী কেরেম শালোম (কারাম আবু সালেম) ক্রসিংয়ে যেতে হবে। ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন ইসরায়েলের হাতে। সেখানে দক্ষিণ গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ক্ষুধার যন্ত্রণায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ছে মানুষ, কান্না থামছে না শিশুদের ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা লোকজনকে গুলি, গাজায় নিহত আরও ১১৫এএফপির ফুটেজে দেখা গেছে, মিশরীয় দিক দিয়ে রাফায় সাদা বস্তা বোঝাই বড় বড় ট্রাক চলাচল করছে। কিছু ট্রাকে মিশরীয় রেড ক্রিসেন্টের লোগো ছিল, আবার কিছু ট্রাকে আমিরাতের পতাকা ছিল। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত - গাজায় মানবিক সহায়তা - গাজায় পানি সহায়তা প্রকল্প।’
টিটিএন