পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আর কেউ নিজের কিংবা দলের স্বার্থে সংবিধান রচনা করতে পারবে না।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
গণসমাবেশে চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশকে অগ্রাধিকার না দিয়ে দলীয় স্বার্থে ছেঁড়া পুস্তকের মতো তৈরি করা হয়েছিল বাংলাদেশের সংবিধান। যার যখন মন চেয়েছে তখনই তা পরিবর্তন করেছে। মাত্র ৩৫-৪০ শতাংশ আসন পেলেই কেউ সংবিধান বদলাতে পারছে, অথচ দেশের ৬০ শতাংশ মানুষের মূল্যায়ন নেই। সময় এসেছে এই ফ্যাসিবাদী ও অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তনের।’
তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে প্রতিটি ভোটারের ভোটের মূল্য থাকবে। কেউ চাইলেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সংসদে গিয়ে ফ্যাসিস্ট চরিত্রে দেশ শাসন করতে পারবে না। অথচ যারা নিজের স্বার্থে রাজনীতি করে, তারাই এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে।’
গণসমাবেশ থেকে রেজাউল করীম ঘোষণা দেন, এই দেশে আর চাঁদাবাজি হতে দেওয়া যাবে না। আর লুটপাট, দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার বরদাশত করা হবে না।
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান সজীব, হেফাজতে ইসলামের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুস সামাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী আমির হোসেন।
সঞ্চালনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ তুষার ইমরান সরকার। দিনভর চলা এই গণসমাবেশে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ইসলামী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকেরা অংশ নেন।
হুসাইন মালিক/এসআর/এমএস