দেশজুড়ে

‘পঁচিশ বছরে ৩০ বাঘের মৃত্যু, পিটিয়ে হত্যা ১৪’

পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. নূর আলম শেখ বলেছেন, ‘গত ২৫ বছরে ৩০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১০টি বাঘের। ১৪টি বাঘকে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় মানুষ। বাঘ মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে আমাদের সবাইকে বাঘ বন্ধু হতে হবে।’

বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে ‘সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটার কিপারের আয়োজনে এ আলোচনা সভা হয়।

সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এস এম মাসুদ রানা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান হাবিব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও দূষণের কবল থেকে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে। বিষযুক্ত পানি পান করে বাঘ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগকারী ও বাঘ পাচারকারীদের রুখে দিতে হবে। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে। সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী বাঘ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রয়োজন।

অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, বাঘ আমাদের শৌর্য্য-বীর্জের প্রতীক, সাহসের প্রতীক। জাতীয় ক্রিকেট দলের অফিসিয়াল লোগো হচ্ছে বাংলার বাঘ। বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ আমাদের অহংকার। সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে।

পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী মো. নূর আলম শেখ সভায় সঞ্চালনা করেন। আলোচনা সভা শেষে ‘সুন্দরবনের বাঘ’ বিষয়ক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম।

আবু হোসাইন সুমন/এমএন/জেআইএম