দেশজুড়ে

চিকিৎসককে মারধর, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ গ্রেফতার ১০

দিনাজপুরের হিলিতে কর্তব্যরত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করে হাকিমপুর থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক মশিউর রহমান বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে হাকিমপুর থানায় একটি মামলা করেন।

হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার মো. ওমর ফারুক (৩৫), তার স্ত্রী সুখী খাতুন (৩০) চন্ডিপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে আল মামুন (৩৫), বাসুদেব পুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম কদম (৫০), একই এলাকার খোকন মন্ডল (৩৮), শাওন (৩০), চন্ডিপুর এলাকার সাদ্দান হোসেন (৩৬) একই এলাকার, ওয়াদুদ হোসেন (৩৬), মো. আলতাফ হোসেন রাজা(৩৫), মো. আহসান (৩৬)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাকিমপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনৈক ফারুক ও তার স্ত্রী ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন। তাদের সুস্থতা ফেরাতে সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন তারা সুস্থ। তাদের আজকে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রিলিজ নিতে বলা হয়েছিল কিন্তু তারা রিলিজ নিতে চাননি।

রোগী সুস্থ থাকার পরও কেন রিলিজ নেবে না, এই বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসক জরুরি বিভাগে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে যান। এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুনসহ ১০-১২ জন এসে ওই চিকিৎসককে ঘর থেকে বের হতে বলেন ও গালাগালি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন আচমকা চিকিৎসকের মুখে ঘুসি মারতে থাকে। তার চিকিৎসকের মোবাইলও কেড়ে নেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত জানতে চাইলে হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মশিউর রহমানকে মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন। এ ঘটনায় চিকিৎসক বাদী হয়ে থানায় ১৩ জনের নামে একটি মামলা করেছেন। মামলার পর ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরার জন্য অভিযান চলছে।

মো. মাহাবুর রহমান/এমএন/এএসএম