দেশজুড়ে

স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে প্রাণ-আরএফএল

২২ বছর ধরে বন্ধ রাজশাহী টেক্সটাইল মিল চালু করে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, কারখানাটিতে ১২ হাজার স্থানীয় ব্যক্তির কর্মসংস্থান হবে।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে নওদাপাড়ায় অবস্থিত টেক্সটাইল মিলটি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‌উত্তরবঙ্গে এমনিতেই কলকারখানা কম। তবে এখানে প্রচুর কর্মক্ষম জনবল রয়েছে। এ অঞ্চলে যদি এ ধরনের প্রতিষ্ঠান হয়, তাহলে এলাকার যেমন সুষম বিকাশ হবে তেমনি স্থানীয় মানুষের কর্মপরিধি বাড়বে। সেই সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত লাগেজ, জুতাসহ পণ্যগুলো বিদেশে রপ্তানি হবে।

তিনি বলেন, ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি লিজ দেওয়া হয়েছে প্রাণ-আরএফএল এর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইলকে। প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। কাজেই এই প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব আপনাদের। আমি এ ফ্যাক্টরিটি দেখে অভিভূত।’

আরও পড়ুন: ২২ বছর বন্ধ থাকার পর প্রাণ ফিরেছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিলে

অনুষ্ঠানে কয়েকজন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।

২২ বছর ধরে বন্ধ থাকা রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পুনরায় চালু করতে গত অক্টোবরে প্রাণ-আরএফএল এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশনের (বিটিএমসি) চুক্তি হয়। ডিসেম্বরে বিটিএমসির কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পরপরই কারখানাটি সচল করতে সক্ষম হয়েছে প্রাণ-আরএফএল।

কারখানায় থাকা পরিত্যক্ত একমাত্র শেডকে মেরামত করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ও জুতা উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিল্পগ্রুপটি।

সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জেআইএম