গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছাত্র সমাবেশ। সারাদেশের জেলা ও মহানগর ইউনিট থেকে আগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশটি জনসমুদ্রে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিশাল সমাগমে উপস্থিত সবাই যেন কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শুনতে ও দেখতে পারেন সে লক্ষ্যেই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।
সমাবেশস্থলে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক প্রজেক্টর ও বড় পর্দা। এখনো চলছে এসব পর্দা ও সাউন্ড সিস্টেমের শেষ মুহূর্তের টেকনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. আউয়াল বলেন, জেলা ও মহানগর থেকে আগত প্রতিটি নেতাকর্মীর ইচ্ছা থাকে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য নিজ চোখে দেখা ও শোনার। তবে জনসমাগম বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে মঞ্চের সামনে আসা সম্ভব নয়। এজন্য বিভিন্ন প্রজেক্টর ও বড় পর্দা বসানো হয়েছে, যেন সবাই বক্তব্য দেখতে ও শুনতে পারেন।
নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা বলেন, এমন উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি। এটা আমাদের মতো তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। আমরা কেন্দ্রীয় সংসদকে ধন্যবাদ জানাই এমন দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের জন্য।
আরও পড়ুন
ছাত্রদলের সমাবেশ ঘিরে বাড়তি বিক্রির আশায় শাহবাগে হকারদের আনাগোনা ঢাকায় ছাত্রদল ও এনসিপির সমাবেশ আজএকই কথা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফসান জানি মেজবাহ। তিনি বলেন, প্রজেক্টরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য সরাসরি দেখা ও শোনার সুযোগে নেতাকর্মীরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকনির্দেশনা স্পষ্টভাবে বুঝে তারা রাজনৈতিক কর্মপন্থায় তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
ছাত্রদলের এই প্রযুক্তিগত উদ্যোগকে নেতাকর্মীরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই উদ্যোগ শুধু সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা নয়, বরং নেতৃত্ব ও কর্মীর মধ্যে একটি দৃশ্যমান সংযোগ গড়ে তোলে।
ইএআর/এএমএ/এমএস