ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপ-রেজিস্ট্রারের বেতন-ভাতা চালুর বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশনার পরও উপ-রেজিস্ট্রারের বেতন-ভাতা না দেওয়ায় গত ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. শামুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আইয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না সে বিষয়ে একটি রুল জারি করেন বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
ভুক্তভোগী উপ-রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু হানিফার অভিযোগ ছিল, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হলেও বেতন-ভাতা চালুর বিষয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ২০ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ আবু হানিফাকে চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়ে উপ-রেজিস্টার আবু হানিফাকে চাকরিচ্যুত করে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত তার চাকুরিচ্যুতি অবৈধ হয়েছে বলে ঘোষণা দেন।
এরপর, গত বছরের ৭ আগস্ট, উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে। তবে এক্ষেত্রে তৎকালীন উপাচার্য আব্দুর রশীদ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের অনুমোদন না নিয়েই যোগদানপত্র নিয়েছেন। আর সে অনুযায়ী রেজিস্ট্রারও একই স্মারকে যোগদানপত্র তৈরি করে বিষয়টি গোপন করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে আবু হানিফার অভিযোগ, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পাশ কাটিয়ে ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত’ শর্ত দিয়ে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। পুনরায় যোগদানের পর থেকে তাকে কোনো ধরনের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আবু হানিফা উচ্চ আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২১ মে আদালত অনতিবিলম্বে তাকে বেতন-সুবিধাদি পরিশোধ করার নির্দেশ দেন।
তবে, আদালতের এ নির্দেশনার পরও বেতন-ভাতা না দেওয়ায় গত ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. শামুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আইয়ুব হোসেনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না সে বিষয়ে একটি রুল জারি করেন বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের আইন বিশেষজ্ঞরা দেখছেন। তবে উপ-রেজিস্টার যেন জুলুমের শিকার না হন, সেটা আমরা দেখবো।
এফএইচ/এএমএ/জিকেএস