পশ্চিমবঙ্গে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জলঢাকায় পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার জেরে তিস্তা নদী এবং ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
অতিভারী বৃষ্টিতে কার্যত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে পাহাড়ি অঞ্চল। একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে তীব্র পানিপ্রবাহ দেখা দিয়েছে জলঢাকা নদীতে। এর ফলে খরস্রোতা তিস্তায়ও পানিস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) সকালে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ২ হাজার ৩৮ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>
গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে অধিক পরিমাণে পানি ছাড়ার ফলে দোমহোনি এবং মেখলিগঞ্জ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদী অঞ্চলে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে পানি বাড়ার ফলে সেখানেও জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। পানিস্তর বৃদ্ধি পেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পরিস্থিতি। তবে গাড়িচালকদের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
নতুন করে তিস্তা নদীর পানি বাড়ার ফলে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন অনেকেই।
জলঢাকা নদীর ধারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে তিস্তার আশপাশে বসবাসকারীদের নদীর তীরে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। রোববারও সকাল থেকে বৃষ্টি চলছে। সব জায়গায় পানি জমে গেছে, নদী ভরে যাচ্ছে। মানুষজন কাজে যেতে পারছে না।
তিস্তায় এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন।
ডিডি/কেএএ/