ক্যাম্পাস

১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ

তফসিল অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আবাসিক হলগুলোতে এখনো অবস্থান করছে মেয়াদোত্তীর্ণ (অছাত্র) শিক্ষার্থীরা। এতে অংশিজনদের মাঝে তৈরি হচ্ছে নিরাপত্তা শঙ্কা।

এদিকে গত রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম জাকসুর তফসিল ঘোষণা শেষে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা ১৬ আগস্টের মধ্যে মাস্টার্স শেষ করা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশ দিচ্ছি। এক্ষেত্রে হল প্রভোস্টদের সহযোগিতা কামনা করছি।

তবে এখনও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা হলে হলে অবস্থান করায় এবং সম্প্রতি হলগুলোতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিকে ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ ছাত্রসংসদের ভিপি সাকিল ইসলাম বলেন, শুধু নোটিশ একটা দিয়ে রাখলে প্রশাসনের কার্যক্রম শেষ নয়। মেয়াদোত্তীর্ণদের বের করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা হলের বৈধ শিক্ষার্থী নয়, তারা যদি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে সেটা খুবই ভয়ংকর ব্যাপার হবে। প্রশাসন যদি আসলে জাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চায় তাহলে দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, আমরা মনে করি সাবেক শিক্ষার্থীরা যদি এখনো হলে অবস্থান করে তাহলে নির্বাচন বাঞ্চালের নানা ধরনের প্রচেষ্টা হতে পারে। তাই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা স্বার্থে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে ঘোষিত তারিখের মধ্যে অবশ্যই বের করতে হবে।

এ বিষয়ে কাজের অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবেদা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা গতকাল সব হলের প্রভোস্টদের নিয়ে মিটিং করেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা প্রতি হলে মেয়াদ উত্তীর্ণদের নোটিশ টানিয়ে দেবো। প্রত্যেকের কাছে চিঠি পৌঁছানোরও চেষ্টা করবো। তারা দেখুক কিংবা না দেখুক আমরা ১৬ তারিখ রাত ১২ টার পর থেকে রুম বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করবো।

সৈকত ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস