আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সের সহযোগিতায় ভারতে তৈরি হবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন

ফ্রান্সের একটি কোম্পানির সঙ্গে ভারত যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি ও উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) নয়াদিল্লিতে এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতে নিজস্বভাবে বিমানের ইঞ্জিন নির্মাণের দিকে এগোচ্ছি। এ লক্ষ্যে ফরাসি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন>

শান্তি আলোচনা বন্ধ করে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছে রাশিয়া চীনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের গুরুত্ব’ এখন বুঝেছে ভারত

যদিও তিনি সরাসরি কোম্পানির নাম উল্লেখ করেননি। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ প্রকল্পে ফরাসি কোম্পানি সাফরান জড়িত, যারা ভারতের বিমান ও প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে রাজনাথ সিং ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ৫ম প্রজন্মের অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট-এর প্রোটোটাইপকে অনুমোদন দেন। তিনি একে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন।

বিশ্বের অন্যতম বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে এবং স্থানীয় অস্ত্র উৎপাদনে জোর দিয়েছে।

ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের কাছ থেকে ভারত সম্প্রতি কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ২৬টি নতুন রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করে, যা এর আগে সংগ্রহ করা ৩৬টি রাফাল ফাইটারের সঙ্গে যুক্ত হবে।

রাজনাথ সিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০৩৩ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ বিলিয়ন ডলারের দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের চুক্তি সই করা হবে, যাতে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ে।

চলতি দশকে ভারত একটি নতুন হেলিকপ্টার কারখানা চালু করেছে, দেশের প্রথম নিজস্ব বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন উদ্বোধন করেছে এবং একটি দীর্ঘপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।

পাকিস্তানসহ একাধিক দেশের সম্ভাব্য হুমকি বিবেচনায় রেখে এই সামরিক অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। চলতি বছরের মে মাসে দেশ দুটি চারদিনব্যাপী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, যা ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে গুরুতর দ্বন্দ্ব বলে মনে করা হয়।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম/টিটিএন