খুলনায় হাতেগোনা কয়েক পদের সবজি প্রায় সবধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম না কমায় বিপাকে রয়েছেন ক্রেতারা। বৃষ্টি ও সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি সবজির দাম বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা নগরীর ফুলবাড়িগেট, মিস্ত্রিপাড়া, নতুন বাজার, শিরোমণি বাজার, গল্লামারি বাজার, জোড়াকল বাজার, নিউ মার্কেট, খালিশপুর বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, লালশাক কেজি ৩০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা কেজি, কুশি ৬০ টাকা কেজি, পুঁইশাক ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি, শসা ১০০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকা এবং রসুন ৮০ -১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, রুই মাছ ৩০০-৩৫০, টেংরা ৫০০-৬০০, পাবদা ৪০০-৫০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৭০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৩০-১৬০ টাকা, লইট্যা মাছ ১২০-১৪০, কনকন মাছ ২২০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রামাঞ্চল থেকে সবজি কম আসছে বলে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তবে সরবরাহ বাড়লেই সবজির দাম অনেকটা কমে যাবে।
ফুলবাড়িগেট বাজারের সবজি বিক্রেতা হান্নান গাজী জানান, অনেক সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা এক কেজির জায়গায় আধা কেজি সবজি কিনছেন। আমাদেরও বিক্রি কমে গেছে। দাম কমলে বিক্রি বাড়বে বলে তিনি জানান।
নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম মিয়া জানান, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। আদার দাম কমেছে। আলুর দামও কম। বৃষ্টির কারণে মূলত এবার অনেক সবজির ক্ষতি হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে শীত আসতে শুরু করলে সবজির দাম আরো কমে যাবে।
জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা আমজাদ মোল্য বলেন, বাজারের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে মাছের দামও বেড়েছে। বিশেষ করে ঘেরে মাছের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। মাছের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে।
গল্লামারি বাজারে আসা আকমল হোসেন কাজল বলেন, সব সবজি আধা কেজি করে কিনতে হচ্ছে। দামের সঙ্গে পেরে উঠছি না। ১০০ টাকা চোখের পলকে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর মাছের দাম তো ছয় মাস হয়েছে বেড়ে গেছে। এখনো কমার নাম নাই।
নিউ মার্কেট বাজারে আসা অয়ন হালদার বলেন, সবজির দাম তো কমছে না। অন্যদিকে মাছের দাম বেড়েই চলেছে। এমন হলে ডালভাত খাওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়বে আমাদের জন্য। প্রায় দুই মাস সবজির দাম চড়া। বাজার নিয়ন্ত্রনকারীদের নজরদারি দরকার।
আরিফুর রহমান/এমএন/জিকেএস